সেই সঙ্গে শিশু, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ট্রেনে তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রুল দেয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমল হোসেন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আইনজীবী আজমল হোসেন খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেলওয়ে আইনের ৬৪ ধারায় প্রতিটি যাত্রীবাহী ট্রেনে নারীদের ব্যবহারের জন্য একটি সংরক্ষিত কামরার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। সেই ট্রেন যদি ৫০ মাইলের বেশি ভ্রমণ করে, তাহলে সংরক্ষিত কামরার সাথে একটি শৌচাগার রাখার কথাও বলা হয়েছে।
আর এ আইনের ১১৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো পুরুষ যদি কোনো আইনগত কারণ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কামরায় প্রবেশ করে, তাহলে রেল কর্তৃপক্ষ তাকে জরিমানা করতে পারবে, তার টিকেট বাজেয়াপ্ত করে তাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দিতে পারবে।
“কিন্তু আইনের এসব বিধানের প্রয়োগ, বাস্তবায়ন না থাকায় রিট আবেদনটি করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে রুল দিয়েছেন।”
নারীযাত্রীদের জন্য ট্রেনে সংরক্ষিত কামরা বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে আইনের ওই দুটি ধারার বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, রেলওয়ের মহাপরিচালক, ব্যবস্থাপক ও পরিদর্শককে চার সপ্তাহের জন্য রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ৬৪ ও ১১৯ ধারা বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৩ জানুয়ারি জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ পারভীন।
পরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি সম্পূরক আবেদন করেন। সেসব আবেদনের শুনানির পর বুধবার রুল জারি করল হাই কোর্ট।