বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছালে কমিশন সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তাদের অর্ভ্যন্তণা জানান।
এরপর তারা সিঁড়ি বেয়ে দুদক ভবনের পঞ্চম তলায় তাদের দপ্তরে যান বলে কমিশনের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, “আমাদের নতুন চেয়ারম্যান এবং নতুন কমিশনার আজ দপ্তরে যোগদান করেছেন।”
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে গত ৩ মার্চ দুদকের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় সরকার। একই দিনে দুদকের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদক চেয়ারম্যান পদে ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আর জহুরুল হক দুদকের কমিশনার (তদন্ত) পদে এ এফ এম আমিনুল ইসলামের জায়গায় দায়িত্ব নিলেন।
কমিশনে অপর সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান। তার মেয়াদ আছে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত।
আইন অনুযায়ী, তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুদক গঠিত হয়। কমিশনারদের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত উন্নয়ন সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান।
১৯৫৯ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা আবদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৩ সালে জনপ্রশাসনে যোগ দেন।
সরকারি চাকরিতে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।