প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে বুধবার বাংলাদেশ লাল দলের বিপক্ষে সবুজ দলের জয় ৬ উইকেটে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ লাল ৫০ ওভার খেলে করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান। অভিজ্ঞ শারমিন আক্তার সুপ্তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান।
রান তাড়ায় ৩৯ রানেই সবুজ দল হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে রুমানা ও রিতু মনির অসাধারণ জুটিতে তারা জিতে যায় ১৬ বল বাকি রেখে।

দুর্দান্ত ইনিংসের পথে রুমানা আহমেদের একটি শট। ছবি : বিসিবি।
১৪৮ বলের ম্যারাথন ইনিংসে রুমানা অপরাজিত থাকেন ৮০ রান করে। ৮০ বলে অপরাজিত ৫১ রিতু মনি। বল হাতেও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনিই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা লাল দলের ইনিংস বলতে গেলে একাই টানেন শারমিন। তৃতীয় ওভারে উইকেটে গিয়ে তিনি আউট হন শেষের আগের ওভারে।
দ্বিতীয় উইকেটে জিন্নাত আসিয়া অর্থির সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন তিনি ১৬ ওভারের বেশি খেলে। চতুর্থ উইকেটে রুবাইয়া হায়দারের সঙ্গে শারমিনের জুটি ৪৯ রানের।
তবে শারমিন ছাড়া বড় রান করতে পারেননি আর কেউ। দলের স্কোরও তাই বড় হয়নি আরও। ১৪০ বলে ৪ চারে ৭২ করে শারমিন রান আউট হন ৪৯তম ওভারে।
রান তাড়ায় সবুজ দল প্রথম ওভারেই হারায় অধিনায়ক শারমিন সুলতানাকে। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার বিদায় নেন দ্বিতীয় ওভারে।
এরপর সানজিদা ইসলাম ও সুমাইয়া আক্তার চেষ্টা করেন প্রতিরোধের। সেই চেষ্টাও খুব দীর্ঘায়িত হয়নি। এই দুজনও যখন আউট হলেন, ১৬ ওভার শেষে সবুজ দলের রান ৪ উইকেটে ৩৯।

সবুজ দলের ফাইনালে ওঠার উল্লাস। ছবি : বিসিবি।
এরপর রুমানা ও রিতু মনির দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট হারায়নি তারা। লাল দলের আশা একটু একটু করে মাড়িয়ে সবুজকে ফাইনালে তোলেন এই দুজন। রুমানার ইনিংসে চার ৯টি, রিতু মনির ৫টি।
শুক্রবার ফাইনালে সবুজ দল মুখোমুখি হলে নীল দলের। টানা দুই জয়ে আগেই ফাইনালে উঠে গেছে নীল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ লাল : ৫০ ওভারে ১৫৭/৮ ( আফিয়া ১, অর্থি ২২, শারমিন ৭২, নিগার ৩, রুবাইয়া ১৮, লতা ১৩, ফাহিমা ১, নাহিদা ৯*, লেকি ২; পান্না ৭-৩-১২-১, দিশা ৯-০-৩২-২, রিতু ৯-০-৪৪-২, খাদিজা ১০-০-২২-০, সানজিদা ৯-০-২৫-২, রুমানা ৬-০-১৮-০)।
বাংলাদেশ সবুজ : ৪৭.২ ওভারে ১৫৯/৪ (শারমিন ১, দিলারা ০, সানজিদা ১২, রুমানা ৮০*, সুমাইয়া ৬, রিতু ৫১*; নাহিদা ১০-০-৩০-১, লতা ৮.১-১-৪৩-২, পূজা ৭-১-২৮-১, ফাহিমা ১০-২-২০-০, লাবণী ১০-১-২৬-০, লেকি ২-০-১২-০)।
ফল : বাংলাদেশ সবুজ ৬ জয়ী।
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ : রিতু মনি।