ক্যাটাগরি

‘সন্ত্রাসীদের কাছে কারা অস্ত্র বিক্রি করে’, প্রশ্ন পোপের

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার ভ্যাটিকান শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া পোপের ভাষণে সাম্প্রতিক ইরাকের সফরের অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে।

পূর্বসূরীরা যেখানে যেতে পারেননি সেই ইরাকে যেতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানান পোপ। তার এই সফরকে খ্রিস্টান ও মুসলিম উভয়ের জন্য ‘বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদের পর কঠিন মহামারীর মধ্যে একটি আশার ইঙ্গিত’ বলে বর্ণনা করেন তিনি।

কোভিড-১৯ এর কারণে অনলাইনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ইরাকের লোকদের শান্তিতে বসবাস করার অধিকার আছে, তাদের নিজেদের মর্যাদা নতুন করে আবিষ্কার করার অধিকার আছে।”

ইরাক সফরকালে রোববার পোপ দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলে যান, যা ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে ছিল। সেখানে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও গির্জার ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন।

“আমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম (সফরকালে), ‘সন্ত্রাসীদের কাছে কারা অস্ত্র বিক্রি করেছে?, আজ কারা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে যারা অন্য কোথাও নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, যেমন, আফ্রিকায়?,” প্রস্তুত করা বক্তৃতা থেকে সরে গিয়ে বলেন পোপ।

“এটি এমন একটি প্রশ্ন আমি চাই কেউ একজন তার উত্তর দেবে।” 

আগে ফ্রান্সিস বলেছিলেন, অস্ত্র নির্মাতা ও পাচারকারীদের একদিন খোদার কাছে জবাব দিতে হবে।

ইরাকের খ্রিস্টানরা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সম্প্রদায়। একসময় দেশটিতে খ্রিস্টানদের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ লাখের মতো ছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ ও পরবর্তী জঙ্গি সহিংতার পর এ সংখ্যা কমে এখন প্রায় ১৫ লাখে দাঁড়িয়েছে।

ইরাক দীর্ঘস্থায়ী অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও ধারাবাহিক সহিংসতায় ভুগছে। এসব সহিংসতা প্রায়ই ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে সম্পর্কিত, যা যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আক্রমণ চালানোর পর থেকে ১৮ বছর ধরে অব্যাহত আছে।