ক্যাটাগরি

ম্যানচেস্টার সিটির বড় জয়

নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার ৫-২ ব্যবধানে জিতেছে সিটি। দুটি করে গোল করেন কেভিন ডে ব্রুইনে ও রিয়াদ মাহরেজ। একটি গোল ইলকাই গিনদোয়ানের। সফরকারীদের দুই গোলদাতা জেমস ওয়ার্ড-প্রাউস ও চে অ্যাডামস।

লিগে টানা ১৫ ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২১ ম্যাচ জয়ের পর গত রাউন্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই সাফল্য পায় সিটি। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সের বাঁ দিকে অলেকসান্দার জিনচেঙ্কো বুক দিয়ে নামিয়ে পাস দেন ছয় গজ বক্সের সামনে। ফিল ফোডেনের শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান ডে ব্রুইনে।

২৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান ইংলিশ মিডফিল্ডার ওয়ার্ড-প্রাউস। সাউথ্যাম্পটনের ডিফেন্ডার ইয়ানিক ভেস্টাগার্ডকে ডি-বক্সে এমেরিক লাপোর্ত ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৪০তম মিনিটে দলকে আবার এগিয়ে নেন মাহরেজ। সফরকারী ফরোয়ার্ড অ্যাডামসের ভুল পাসে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন আলজেরিয়ার এই ফুটবলার।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান গিনদোয়ান। এই গোলেও অবদান আছে মাহরেজের। তার কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লেগে ফেরার পর কাছ থেকে বল জালে পাঠান গিনদোয়ান।

দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিটের মধ্যে হয় তিন গোল। ৫৫তম মিনিটে ১৫ গজ দূর থেকে মাহরেজ তার দ্বিতীয় গোল করার পরের মিনিটে ব্যবধান কমান অ্যাডামস। ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে অনায়াসে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

আর ৫৯তম মিনিটে ফোডেনের পাস পেয়ে স্কোরলাইন ৫-২ করেন ডে ব্রুইনে।

শেষ দিকে অ্যাডামস আরেকবার বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা সের্হিও আগুয়েরোর শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি গোলরক্ষক।

২৯ ম্যাচে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট হলো ৬৮। ২৮ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ইউনাইটেডের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে লেস্টার সিটি। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে চেলসি।

৩৩ পয়েন্ট নিয়ে সাউথ্যাম্পটনের অবস্থান ১৪ নম্বরে।