বৃহস্পতিবার নীলফামারীর
চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম একথা জানান।
আসছে ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে বাংলাদেশ-ভারতের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।
চিলাহাটি-হলদীবাড়ি
রেলপথ হয়ে ঢাকা থেকে নিউ জলপায়গুড়ি স্টেশন পর্যন্ত যাত্রিবাহী এই ট্রেন চলাচল করবে।
দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ২০২০
সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলদীবাড়ি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন দুই
দেশের প্রধানমন্ত্রী।
চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার
আশরাফুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৬ মার্চ চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে ঢাকা থেকে ভারতের
নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত সরাসরি যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে
মহড়ায় ভারতের ওই ইঞ্জিনটি বৃহস্পতিবার দুপুরে চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁছার কথা ছিল; কিন্তু
সীমান্ত ছুঁয়ে তা ফিরে যায়।
হলদিবাড়ি স্টেশন মাস্টার
সত্যজিৎ তিওয়ারির বরাত দিয়ে আশরাফুল ইসলাম আরও জানান, ট্রেন চলাচল শুরুর আগে সার্বিক
বিষয় অবগত হতে সাতজন প্রতিনিধি নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে একটি রেল ইঞ্জিন মহড়ায়
আসে।
“কাস্টম ও ইমিগ্রেশন
ছাড়পত্র না থাকাসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ত্রুটি থাকায় ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়নি
বিএসএফ। ভারতীয় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস্ ছাড়পত্র না দেওয়ায় হলদিবাড়ি থেকে ইঞ্জিনটি বাংলাদেশের
চিলাহাটি রেল স্টেশনে আসতে পারেনি।”
এর আগে গত ৫ মার্চও
একই কারণে ভারতীয় ইঞ্জিন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি বলে তিনি জানান।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক
মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “আমরা আশা করছি এই পথে আগামী স্বাধীনতা দিবসে যাত্রীবাহী
ট্রেন চলবে। তারই ধারাবাহিকতায় ভারত তাদের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন
চালিয়েছে।”
চিলাহাটি রেলপথ নির্মাণ
প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহীম জানান, ১৯৬৫ সালের পর বন্ধ থাকা পথটি চালু করতে ৮০ কোটি
১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে
ছিল চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ
ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর
চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল
ইসলাম সুজন।