এ তথ্য দিয়ে
বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
জানান, ভাঙনের ফলে তার ইউনিয়নের আবাদি জমিসহ ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট বাজার হুমকির মুখে
পড়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার অসহায় মানুষ পাচ্ছে
না মাথা গোঁজার ঠাঁই।
ভাঙন রোধে স্থায়ী
ব্যবস্থা না নিলে ঐতিহ্যবাহী এ হাটটি যে কোন মূহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা
প্রকাশ করেন তিনি।
এ দিকে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ মোল্লারহাটের পূর্ব দিকের
অংশে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ভাঙছে।
ওই এলাকার উত্তর
বালাডোবা গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী ছালেহা বলেন, স্বামী খড়ি বেচি খায়। তিন ছেলে ও
দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বাড়িভিটা ভেঙে যাওয়ায় জায়গা না পেয়ে গত ছয়
মাস ধরে নদীর তীরে ছাপড়া তুলে থাকছেন।
কিন্তু তাদের
সাহোয্যে এখনও প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ ছলেহার।
ভাঙনের মুখে
থাকায় একই রকম দুশ্চিন্তার কথা জানালেন ওই এলাকার সোনাভান, ছালেহা, ছামাদ ও জহুর আলী।
এ বিষয়ে কথা
হয় বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মহু বাদশার সঙ্গে। ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত
ভাঙনে গত পাঁচ বছরে মানচিত্র থেকে এ ওয়ার্ড বিলিন হয়েছে বলে জানান তিনি।
মহু বলেন, “এই ওয়ার্ডের লোকজন এখন ৪ ও
৭ নম্বর ওয়ার্ডে আশ্রয় নিয়েছে। চলতি বছর নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে এ দুটি ওয়ার্ডের প্রায়
সাত শতাধিক বতসবাড়ি; এখানেও চলছে ভাঙনের তাণ্ডব। গৃহহীন পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন
করছে। কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে নদীর তীরে ছাপড়া তুলে দিন কাটাচ্ছে।”
কুড়িগ্রাম পানি
উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, “শুকনো সময়েও মোল্লারহাটে নদী
ভাঙন রয়েছে। এরই মধ্যে আমরা ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং-এর প্রস্তুতি নিয়েছি।
স্থায়ীভাবে এটা রোধ করার জন্য বাজেট চেয়ে এপিল করেছি।”
খুব তাড়াতাড়ি
অনুমোদন পেলে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু করে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।