বৃহস্পতিবার
বিকেলে মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা কলেজের পশ্চিম পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে
এ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসিরুজ্জামান।
নিহত
শফিকুল ইসলাম (২২) উয়ার্শী ইউনিয়নের নবগ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। গত ২৫
সেপ্টেম্বর ভ্যান চালাতে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর বাড়ি ফেরননি তিনি।
পুলিশ
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নবগ্রাম গ্রামের মামুন (২৫) নামের এক যুবককে
গ্রেপ্তার করে। তার
তদন্তকারী
কর্মকর্তা নাসিরুজ্জামান জানান, শফিকুল পেশায় বেটারিচালিত ভ্যানচালক। গত ২৫
সেপ্টেম্বর সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি, সন্ধ্যার পর থেকে তাকে পাওয়া
যাচ্ছিল না।
মস্তমাপুর
খেয়াঘাট থেকে শফিকুলের ভ্যানটি উদ্ধার করে আত্মীয়রা। ৩০ সেপ্টেম্বর শফিকুলের চাচা
শিপন মিয়া মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
গত ৫
মার্চ শফিকুলের মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে মির্জাপুর থানায় মামলা
করেন।
নাসিরুজ্জামান
জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
“মামুনসহ
কয়েকজন মিলে শফিকুলকে অপহরণ করে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখে।”
মামুনের
দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ মাটি খুঁড়ে শফিকুলের কঙ্কাল
উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পাঠিয়েছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।