বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেলে তারা ওই বন্ড ছাড়তে পারবে।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ডিএসইকে জানিয়েছে, এই বন্ড ছেড়ে তারা তাদের মূলধন ভিত্তি শক্ত করতে চায়।
বন্ডগুলো হবে কনভার্টেবল অর্থাৎ এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে।বন্ডটি হবে পার্পেচুয়াল বন্ড।
২০০৭ সালে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ কোম্পানি বর্তমানে‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
২০১৭ অর্থবছরে এই ব্যাংক ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল, লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতি ১০০ শেয়ার ১০টি শেয়ার।
২০১৮ অর্থবছরে ১২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা মুনাফা করে বিনিয়োগকারীদের তারা প্রতি ১০০ শেয়ার ১০টি শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
আর ২০১৯ অর্থবছরে ১৬৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা মুনাফা করে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লভ্যাংশ হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ার ৫টি শেয়ার এবং প্রতি শেয়ারে ৫০ পয়সা দিয়েছিল।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৯৮ কোটি ৯২ হাজার ৩৩৮টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বর্তমান বাজার মূলধন ২ হাজার ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৯৮০ কোটি ৯ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৬৭২ কোটি ২১ লাখ টাকা।