ভোটগ্রহণের স্থান পরিবর্তন করতে প্রতিদ্বন্দ্বী একটি
অংশের অব্যাহত ‘চাপের’ মধ্যে বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেলের নেতাদের অনুরোধে
বৃহস্পতিবার আবার দায়িত্বে ফিরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর এই শিক্ষক।
পোশাক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে
ঢাকা অঞ্চলের ভোটগ্রহণের স্থান হিসাবে র্যাডিসন হোটেল ঠিক করা হয়েছে। ফারুক
হাসানের সম্মিলিত পরিষদ এই স্থান পরিবর্তন করে উত্তরায় বিজিএমইএর স্থায়ী কার্যালয়ে
নেওয়ার চেষ্টা করলেও বর্তমান সভাপতি রুবানা হকের ফোরাম র্যাডিসনে অনড়।
ফোরামের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্মিলিত
পরিষদের কয়েকজন নেতা ফোন করে ‘ভেন্যুর’ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের
চেয়ারম্যানকে ‘চাপ প্রয়োগ’ করেন। সেকারণেই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
যোগাযোগ করা হলে ফরহাত আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মানুষের
ব্যক্তিগত কারণ থাকতেই পারে। এখন দুই পক্ষের অনুরোধে ফিরে এসেছি।”
ভোটগ্রহণের স্থান নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধের বিষয়টি
অবশ্য স্বীকার করেন তিনি।
তবে অধ্যাপক সৈয়ত ফরহাত বলেন, তফসিল যেভাবে ঘোষণা করা
হয়েছে, সব কিছু সেভাবেই চলবে। এখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে।
নির্বাচনে আরও কিছুদিন সময় বাকি আছে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে আরও পরে সব সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।
উত্তরায় বিজিএমইএর নতুন ভবনে ভোটগ্রহণ চায় একটি পক্ষ।
নির্বাচনী বোর্ডের আরেক সদস্য হাবিবুল্লাহ এন করিম তার
বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, “ওই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
যেভাবে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, নিয়মে যা আছে সেভাবেই সবকিছু হবে।”
সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক
আবদুস সালাম মুর্শেদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তা
দূর হয়েছে। আশা করছি ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনের নির্বাচনটি এখন সুন্দরভাবেই হবে। যে
ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা আর নেই।“
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক বলেন, “যে ঘটনা
ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইনা। আমরা দুই
প্যানেলের নেতারা একত্রিত হয়ে স্যারকে অনুরোধ করে ফিরিয়ে এনেছি।”
তবে যে কারণে বোর্ড চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের মতো
সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, তা এখনও দূর হয়নি বলেই বিজিএমইএ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে
জানা গেছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে
এবং চট্টগ্রামে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের
ভোট হবে।
এবারের দ্বিবার্ষিক পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ঢাকা ও
চট্টগ্রামে সমিতির ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেলের ৩৫ জন করে মোট ৭০ জন
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন জায়ান্ট টেক্সটাইলের
ফারুক হাসান আর ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
এবিএম শামসুদ্দিন মিয়া।