শুক্রবার
দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব, কুষ্টিয়া
এডিটরস ফোরাম, কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, জেলা ইউনাইটেড অনলাইন প্রেস
ক্লাব ও জেলা টেলিভিশন ক্যামেরা পার্সন এসোসিয়েশন নেতারা।
সাংবাদিকদের
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত
করে একদল লোক। এই সময় পুলিশ সুপারসহ সেখানে থাকা কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার
ব্যবস্থা না করে দ্রুত সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।
এই ঘটনায়
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জেলার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের স্মরণাপন্ন হয়েও কোনো প্রতিকার পাননি
বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার
প্রতিবাদে শুক্রবার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে জরুরি সভা ডাকেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় সভাপতিত্ব
করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী মাহবুব রহমান।
সভায়
বক্তারা বলেন, বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তার সভাকক্ষে ‘সাংবাদিক
নামধারী এক রাজনৈতিক নেতা’ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে যমুনা টেলিভিশনের
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালনের ওপর হামলা চালান।
এসব দুস্কৃতকারীদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সকল সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
সভায়।
সাংবাদিকদের
অভিযোগ, প্রতিকার চেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুষ্টিয়ার সকল গণমাধ্যমকর্মী পুলিশ সুপার, শীর্ষ
ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের জানলেও তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।
সভায় বক্তব্য
রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবুল, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিনিধি
রবিউল ইসলাম দোলন, জেলা এডিটরস ফোরামের সহসভাপতি লুতফর রহমান কুমার, কোষাধ্যক্ষ এম
এ জিহাদ, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশরে সভাপতি হাসান আলী, সাধারণ সম্পাদক এস এম
রাশেদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শরীফ বিশ্বাস, ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি
শেখ হাসান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তিতাস প্রমুখ।
এছাড়া টেলিভিশন
ক্যামেরা পার্সন এসাসিয়েশেয়নের সভাপতি আসিফ্জ্জুামান শারফু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর
রহমান হাবিব, প্রথম আলোর প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান, যুগান্তর প্রতিনিধি এম জুবায়েদ রিপন,
বাংলা টেলিভিনের প্রতিনিধি এম লিটন উজ জামান, সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা ও দীপ্ত
টেলিভিশেনের প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার বক্তব্য রাখেন।