সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার হওয়া ফাইনালে সালমা খাতুনের দল জিতেছে ৮ উইকেটে। বাংলাদেশ সবুজের দেওয়া ৭৩ রানের লক্ষ্যে নীল
দল পৌঁছে যায় ১৮.২ ওভারেই।
বাংলাদেশ সবুজকে অল্প রানে থামিয়ে দিতে জাহানারা ও মুমতা তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন সালমা।
রান তাড়ায় বাংলাদেশ নীলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শামিমা সুলতানা। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। ক্যাচ ধরেন তিনটি, স্টাম্পিং একটি। ম্যাচ সেরা তিনিই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শারমিন সুলতানার দল দেখেশুনেই শুরু করেছিল। কিন্তু সপ্তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন জাহানারা। অধিনায়ক শারমিনকে ফেরানোর পর অভিজ্ঞ এই পেসার এলবিডব্লিউ করে দেন সুমাইয়া আক্তারকে।
সানজিদাকে ইনিংস বড় করতে দেননি সালমা। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রুমানা আহমেদ ও নুজহাত তাসনিয়া প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। মুমতার বলে ফেরেন দুইজনই।
সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন রিতু মনি। শেষের ব্যাটাররা যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। সবুজ দলের ইনিংস থামে ৩৬ ওভারে।
রান তাড়ায় সবসময়ই নিয়ন্ত্রণ ছিল
নীল দলের হাতে। ২৪ রানে মুরশিদা খাতুনকে বিদায় করেন খাদিজা-তুল-কুবরা। সেখান থেকে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান শামিমা ও ফারজানা। ৫৫ বলে ৫ চারে ৩১ রান করা শামিমাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রুমানা।
বাকি পথ ইশমা তানজিমকে নিয়ে পাড়ি দেন ফারজানা। তিনি অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ সবুজ: ৩৬ ওভারে ৭২ (শারমিন ৮, সানজিদা ১২, সুমাইয়া ০, রুমানা ১৪, নুঝহাত ৮, রিতু ১৮, দিলারা ৩, দিশা ২, পান্না ২*, খাদিজা ০, সানজিদ ২; জাহানারা ৮-৩-১৫-৩, ফারিহা ৭-০-২১-০, সালমা ৭-৩-৯-২, মুমতা ৭-৩-১৫-৩, রাবেয়া ৭-৩-১০-১)।
বাংলাদেশ নীল: ১৮.২ ওভারে ৭৪/২ (মুরশিদা ৯, শামিমা ৩১, ফারজানা ২৮*, ইশমা ১*; পান্না ২-০-৯-০, দিশা ১-০-৭-০, খাদিজা ৬-০-২৬-১, সানজিদা ৪-০-১১-০, রিতু ২-০-১২-০, রুমানা ৩.২-১-৮-১)।
ফল: বাংলাদেশ নীল ৮ উইকেটে জয়ী।
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: শামিমা সুলতানা।