বিবিসি জানায়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কারো কারো রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ এই টিকা প্রদান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার ডব্লিউএইচও-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা তৈরির কোনো সম্পর্ক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বলেন, ‘‘এটা চমৎকার একটি টিকা এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশগুলোর এই টিকার ব্যবহার অব্যাহত রাখা উচিত।”
ইউরোপের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এরইমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩০ জনের টিকা গ্রহণের পর শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা গেছে। ইতালিতে ৫০ বছরের এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলেও খবর প্রকাশ পেয়েছে।
আসলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ আছে কিনা বা রক্তজমাট বাঁধার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা সত্যি কিনা তা ডব্লিউএইচও তদন্ত করে দেখছে বলে জানান হ্যারিস।
বলেন, ‘‘তবে এখন পর্যন্ত টিকার সঙ্গে স্বাস্থ্যগত সমস্যার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তার কোনো সম্পর্ক থাকার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।”
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া স্থগিত রাখা প্রসঙ্গে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ বলেন, ‘‘ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি নিরাপত্তা নিয়ে সব সন্দেহ দূর না করা পর্যন্ত আমি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।”
ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি এবং ইইউর মেডিসিনস রেগুলেটর থেকে এর আগে বলা হয়েছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ বলছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে টিকার নিরাপত্তার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং মেক্সিকোসহ বিশ্বের অনেক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দান অব্যাহত রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া স্থগিত রাখার পক্ষে নন।
বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত আমি যা দেখতে পেয়েছি তাতে এই টিকার ঝুঁকির চাইতে লাভ অনেক অনেক বেশি।”