ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: দৈনিক শনাক্তের হার ৬% ছাড়াল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে
১ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর মোট সংখ্যা
বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ জন।

এর
আগে সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের
তথ্য দিয়েছিল, সেদিন ১ হাজার ৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

দৈনিক
শনাক্তের হার সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি ছিল গত ৫ জানুয়ারি। সেদিন পরীক্ষার তুলনায় রোগী
শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

এরপর
কমতে কমতে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায়
শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে। 

 

স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে
আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের মোট সংখ্যা
পৌঁছেছে ৮ হাজার ৫১৫ জনে।

বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন
গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৭২ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে
গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯
রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম
রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক
দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৮৬ লাখ পেরিয়েছে,
মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ লাখ ৩০ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে
আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর
ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট
২১৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪২
লাখ ৩২ হাজার ১৩৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, এ পর্যন্ত
মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ
এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ লাখ ৪১ হাজার
৫৯৪টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৫টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী। তাদের
মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের ৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩
জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন বরিশাল
বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। 

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪৪২ জনই পুরুষ
এবং ২ হাজার ৭৩ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৪০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ১০৯
জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৬৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২৬ জনের বয়স
৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে
২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৬৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৭৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের,
৪৮১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১১ জন সিলেট
বিভাগের, ৩৬৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।