ক্যাটাগরি

‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে’ মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৪

বাকলিয়া থানার
ওসি মো. রুহুল আমিন জানান, নগরীর বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে
তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা
হলেন- মো. শহীদ আলম ওরফে লেদু (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), গিয়াস উদ্দিন (২৯) ও মো. রায়হান
(২৮)।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে ওসি বলেন, “চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি
ব্যাংকে কর্মরত এক ব্যক্তি তার পরিচিত ব্যক্তির কাছে পাওয়া মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে
এক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েকদিন কথা বলার এক পর্যায়ে গত ৫ মার্চ বিকালে ওই তরুণী
ব্যাংক কর্মকর্তাকে বাসায় যাওয়ার দাওয়াত দেন।

“ওই দিন ব্যাংক কর্মকর্তা বাকলিয়া
থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় গিয়ে মেয়েটিকে ফোন করে। এ সময় ওই তরুণী তাকে বাসায় নেওয়ার
জন্য রায়হান নামে একজনকে পাঠাচ্ছেন বলে জানান।”

ওসি বলেন, রায়হান
রাহাত্তারপুল থেকে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে নিয়ে চান্দাপুকুর এলাকা বিসমিল্লাহ টাওয়ার
নামে একটি ভবনের পেছনে খালি জায়গায় নিয়ে যায়। যেখানে আগে থেকেই লেদু, গিয়াস, জাহাঙ্গীরসহ
আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

“এ সময় তারা ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে
জিম্মি করে ‘অবৈধ সম্পর্ক’ করতে সেখানে গিয়েছে বলে লোক
জড়ো করার হুমকি দেয়। পাশাপাশি তারা ছুরিকাঘাতের ভয় দেখায় এবং পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কথা
বলে দুই লাখ টাকা দাবি করে। পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা তার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে কয়েকটি
বিকাশ নাম্বারে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।”

ওই ব্যাংক কর্মকর্তা
সেটি গোপন রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি বাকলিয়া থানায় জানালে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে
আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং এরপর চারজনকে গ্রেপ্তার
করে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

লেদুসহ কয়েক
জনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক করে মামলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ চক্রের
সদস্য। এই দলে নারীসহ অন্তত ১০ জনের নাম পাওয়া গেছে। নারীদের দিয়ে উচ্চবিত্ত লোক জনকে
জিম্মি করে টাকা আদায়ের পাশাপাশি চুরি ছিনতাইতেও তারা জড়িত।”

এ ঘটনায় ওই ব্যাংক
কর্মকর্তার করা মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের
রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।