ক্যাটাগরি

বাদলের মুক্তি চেয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

শুক্রবার বিকালে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামে বাদলের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তারা এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকলী বলেন, “যাদের লোক মারা গেছে তাদের কোনো মামলা নিচ্ছে না পুলিশ; অথচ যারা খুন করেছে তাদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ।”

তার স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তার মুক্তি দাবি করেন।

বাদলের মা আরাধন বেগম বলেন, মিথ্য বানোয়াট অভিযোগে তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি সকল সংঘাতের জন্য আব্দুল কাদের মির্জাকে দায়ী করেন।

বাদলের বড়ো বোন ফাতেমা আক্তার বকুল ও ছোট বোন আমেনা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৯ মার্চ রাতে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন (৩২) মারা যান। এরপর থমথমে অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরে থেকে সাদা পোশাকের একদল লোক বাদলকে মাইক্রেবাসে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর তাকে আটকের খবর নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।

পরে পুলিশের করা মামলায় মিজানুর রহমান বাদলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

শুক্রবার দুপুরে বাদলকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. হোসাইন আহমেদ বলেন, দুটি নাশকতাসহ মোট চারটি মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রাতভর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির হয়। এ সময় বাদলের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তার নাকচ হয়ে যায়।

টানা চার দিন পৌর ভবনে আবদুল কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা টানা চারদিন পৌর ভবনের ভেতর অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের পর থেকে তিনি পৌর ভবনের তিন তলায় একটি কক্ষে অবস্থান নেন।

সেখানে তার সঙ্গে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক রয়েছেন বলে দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানিয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইনশঙ্খলা বাহিনী পৌর ভবনের চারপাশে অবস্থান করছে।  

এদিকে, শুক্রবার ভোরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটো ভাই আবদুল কাদের মির্জা গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে। এই খবরে শুক্রবার ভোর থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা বসুরহাটে ভিড় জমান।

তবে শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

শুক্রবার সকালে এবং দুপুরে কিছু সময়ের জন্য কাদের মির্জা পৌরসভা কার্যালয় থেকে বের হয় আবার আগের অবস্থানে চলে যান।