শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সিউল মিয়ানমারের কাছে অন্যান্য কৌশলগত পণ্য রপ্তানিও কমিয়ে দেবে।
এছাড়াও মিয়ানমারের জন্য উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের নাগরিকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় মানবিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
‘‘দক্ষিণ কোরিয়া সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বার বার বলার পরও মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর দমন-পীড়নে দেশটিতে রক্ত ঝরা অব্যাহত আছে এবং প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে।”
দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৯ সালে সর্বশেষ মিয়ানমারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি রপ্তানি করেছিল। দেশটি এখনো মিয়ানমারের উন্নয়ন প্রকল্পে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে।
কিন্তু মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিউল সেখানে উন্নয়ন সহযোগিতা করা নিয়ে দ্বিতীয় বার বিবেচনা করছে। তবে যেসব প্রকল্পে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের জীবনধারন এবং মানবিক সহায়তার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত সেসব প্রকল্পের কাজ অব্যাহত থাকবে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর সেখানে সেনাশসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ টানা বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। বিক্ষোভ দমনে জান্তা বাহিনী বলপ্রয়োগ করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।