ক্যাটাগরি

রাজু স্মরণে ই-বুক

১৩ মার্চ রাজু দিবস পালন করে সংগঠনটি। এবারের রাজু দিবস সামনে রেখে সংকলনটি তৈরি করা হয়েছে বলে ‘রাজু স্মরণে ই-বুক’ সংকলক চিররঞ্জন সরকার জানান।

১৯৯২ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ‘বন্দুকযুদ্ধে’র প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের মিছিলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজু।

চিররঞ্জন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নানা আয়োজনের মধ্যে শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-বুকটি প্রকাশ করা হবে।

“রাজুর আত্মদানের ঘটনাটিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং সে সময়কার রাজনীতির চিত্রটাকে ধরে রাখার জন্যই মূলত এ উদ্যোগ।”

রাজুসহ সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের সব শহীদদের স্মরণে ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্ত্বরে নির্মিত হয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য।

রাজুর সহযোদ্ধা চিররঞ্জন বলেন, ভাস্কর্যটি যার নামে তিনি কে ছিলেন, কেন তার নামে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে তা বেশিরভাগ মানুষই জানে না।

“সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল রাজুর স্বপ্ন।” 

১৩১ পৃষ্ঠার সংকলনে রাজুকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও ব্লগে প্রকাশিত নির্বাচিত প্রতিবেদন, লেখা, পেপার কাটিং, ছবি, পুরনো সংকলনের কপি, শোক বইয়ের কপিসহ নানা তথ্য থাকছে বলে জানান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শিক্ষা ও গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক চিররঞ্জন সরকার। 

ছাত্র ইউনিয়নের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “রাজু হত্যার বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৩ মার্চকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু দিবস হিসেবে পালনের দাবি নিয়ে এ বছর দিবসটি পালন করা হবে।”

দিবসটি পালনে রাজুর বন্ধু-স্বজন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে টিএসসি সড়ক দ্বীপে নির্মিত রাজু ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

রাজু স্মরণে ই-বুক প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী ‘জাগাও বিবেক রুখো সন্ত্রাস’ শিরোনামে প্রচারণা, ভার্চুয়াল স্মরণ সভারও আয়োজন করা হয়েছে।