শুক্রবার বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি৷ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে বিবেচনার৷
“করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি থাকলে জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার তারিখ ঠিক করেছে সরকার।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রীই ওই তারিখ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
আর রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয় তার আগেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান বিষয়ে শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
মহামারীর শুরুতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং কোনো ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।
এ বছরের শুরুর দিকে সংক্রমণের হার কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দেশে সংক্রমণের হার আবার বাড়তে শুরু করে।
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা যেখানে তিনশর নিচে নেমে গিয়েছিল, গত তিন দিন ধরে আবার তা হাজারের বেশি থাকছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে দেশে ১ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ জন।
আর আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ হাজার ৫১৫ জনে।
পুরনো খবর
বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে ২৪ মে: শিক্ষামন্ত্রী