ক্যাটাগরি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ

এবারের নির্বাচনে ভোটার মোট ৭ হাজার ৭২১ জন, যার মধ্যে গত দুই দিনে ৫ হাজার ৬৭৬ জন আইনজীবী ভোট দিয়েছেন।

ভোটের প্রথম দিন অর্থাৎ গত বুধবার ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৮২৩ জন। আর বৃহস্পতিবার ভোটের দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দিনে ভোট পড়েছে ২ হাজার ৮৫৩টি।

বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়; দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ভোট চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

১৪টি পদের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৫১ জন। সভাপতি, দুজন সহ-সভাপতি, একজন সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, দুজন সহ-সম্পাদক এবং সাতটি কার‌্যনির্বাহী সদস্য এক বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সদস্য আইনজীবী এহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ব্যালট বাছাইয়ের পর বেলা ২টা থেকে গণনা শুরু হবে। ভোটের ফলাফল জানতে রাত পর‌্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”  

পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগপন্থি প্রার্থীরা ‘সাদা প্যানেলের’ প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। আর বিএনপিপন্থি প্রার্থীরা পরিচিতি পেয়েছেন ‘নীল প্যানেল’ হিসেবে।

তবে বিএনপিপন্থি বেশ কয়েকজন আইনজীবী আলাদা একটি প্যানেলে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও বামপন্থি প্রার্থীরা ‘লাল প্যানেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

এর বাইরে সভাপতি পদে আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ আবার প্রার্থী হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু সভাপতি পদে ও সম্পাদক পদে আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল প্রার্থী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত অন্য প্রার্থীরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যা ও আলী আজম, কোষাধ্যক্ষ পদে ইকবাল কবির, সহ-সম্পাদক পদে সাফায়েত সুলতানা রুমি ও নূর এ আলম উজ্জ্বল।

কমিটির সাতটি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন,মিন্টু কুমার মণ্ডল, মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ, মো. সানোয়ার হোসেন, এ বি এম শিবলী সাদেকীন, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. সিরাজুল হক ও মাহফুজুর রহমান রোমান।

অন্যদিকে নীল প্যানেলে সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব মো. ফজলুর রহমান ও সম্পাদক পদে মো. রুহুল কুদ্দুস ফের প্রার্থী হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত এই প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে জয়নাল আবেদিন ও মো. জালাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহবুব, সহ-সম্পাদক পদে মাহমুদ হাসান ও রাশিদা আলম ঐশী।

সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন, গোলাম আক্তার জাকির, মনজুরুল আলম, শফিকুল ইসলাম, নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব, পারভীন কাওসার মুন্নি, রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও এস এম ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ।

এর বাইরে বিএনপিপন্থি আইনজীবী হিসেবে পরিচিতদের মধ্য থেকে সভাপতি পদে এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান এবং সম্পাদক পদে মির্জা আল মাহমুদ প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে মো. ইসমাইল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, সহ-সম্পাদক পদে জুলফিকার আলী জুনু ও মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, সদস্য পদে মো. শাফিউর রহমান, মো. মুনির হোসেন, এ কে এম মুকতার হোসেন, এ কে এ নএম ওয়ালিউল ইসলাম, মোহাম্মদ মহিদ উদ্দিন, মো. আকবর হোসেন ও নাজমুল হাসান প্রার্থী হয়েছেন।

বামপন্থি আইনজীবীদের থেকে এ নির্বাচনে সভাপতি পদে কে এম জাবির, সম্পাদক পদে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ছাড়া, সহ-সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. বদিউজ্জামান তপাদার, সহ-সম্পাদক পদে মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য পদে শহিদুল হক, এস কে এম আনিসুর রহমান খান, জহিরুল আলম বাবর প্রার্থী হয়েছেন।