শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হেরাতের গভর্নর সৈয়দ আব্দুল ওয়াহিদ কাতালি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছেন।
তিনি জানান, ওই দিন রাতে হেরাত শহরের জনাকীর্ণ এলাকায় বিস্ফোরকে ঠাসা একটি পণ্যবাহী মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, এতে অন্তত ৫৩ জন আহত হন। এদের মধ্যে বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়্। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে বের করে আনতে উদ্ধারকারীরা তৎপরতা শুরু করেন।
হেরাতের ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক শেরাজির ভাষ্য অনুযায়ী, দুই নারী, তিনটি শিশু, দুই বেসামরিক পুরুষ ও সামরিক বাহিনীর এক সদস্যের লাশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি আরও ৪৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী, ১১ জন পুরুষ, আটটি শিশু এবং নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও স্থানীয় কর্মকর্তারা তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তালেবানের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এ হামলার তীব্র নিন্দা করে এর জন্য তালেবানকে দায়ী করেছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অনায্য লড়াই ও সহিংসতা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে তালেবান ফের প্রমাণ করলো বর্তমান সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো ইচ্ছা তাদের নেই এবং তারা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে চায়।”
২০০১ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলো তালেবানকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করার পর থেকে তারা বিদেশি শক্তি সমর্থিত আফগানিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তান সরকার ও তালেবান বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনা চললেও তাতে তেমন অগ্রগতি নেই।
আফগানিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘ মিশনের গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশটিতে আট হাজার ৮২০ জন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন।