ক্লাবের ওয়েবসাইটে শুক্রবার দি মারিয়ার
সঙ্গে এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর খবর দেয় পিএসজি। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এখানে
থাকবেন তিনি। সুযোগ রাখা হয়েছে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার।
২০১৫ সালের অগাস্টে প্যারিসের দলটিতে যোগ
দেওয়ার পর ক্রমেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। চলতি মৌসুমে
যখন দুই মহাতারকা নেইমার ও এমবাপে চোটের কারণে একসঙ্গে ছিলেন দলের বাইরে, তখনও তিনি
নজর কাড়েন আলাদা করে।
ফরাসি ক্লাবটিতে দারুণ সফল দি মারিয়া। দলের
হয়ে ২৪৮ ম্যাচে করেছেন ৮৭ গোল, ক্লাবের ইতিহাসে যা অষ্টম সর্বোচ্চ। সতীর্থদের দিয়ে
করিয়েছেন ৯৯টি। আর ৪টি গোল করাতে পারলেই স্পর্শ করবেন সাফেত সুসিচের রেকর্ড। পিএসজির
হয়ে অ্যাসিস্টের তালিকায় শীর্ষে আছেন বসনিয়ার সাবেক এই মিডফিল্ডার।
রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে
রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে দি মারিয়াকে। চুক্তি নবায়নের পর ক্লাবের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
এই নিয়ে নিজের অনুভূতি জানান তিনি।
“১০০ অ্যাসিস্টের চেষ্টায়
সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে আমি কিছুটা অস্থির হয়ে পড়েছি। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর আমি সাফেত সুসিচের ১০৩ অ্যাসিস্ট পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, যা বর্তমানে ক্লাব
রেকর্ড।”
“এটা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ,
কারণ এটি ক্লাবের ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে, চিরদিনের জন্য সেখানে লেখা থাকবে, যতদিন
না আরেকজন আমারে রেকর্ড পেরিয়ে যাবে। আশা করি, চুক্তি নবায়ন আমার এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য
করব।”
রিয়াল মাদ্রিদের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
হয়ে প্যারিস; পরিবার নিয়ে এখানে সুখেই আছেন আর্জেন্টিনার হয়ে ১০৪ ম্যাচে ২০ গোল করা
এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
“আমার মনে হয়, এটি (চুক্তি নবায়ন) আমার
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় বলে এসেছি প্যারিসে আমি সুখি, আমার পরিবারও। আমার
মেয়েরা প্যারিসকে ভালোবাসে, তাদের স্কুল ও বন্ধু-বান্ধবকে ভালোবাসে। তাই আমার ইচ্ছা
ছিল এখানেই থেকে যাওয়ার, কারণ ক্লাব এবং এই শহর আমার ভালো লাগে।”
“চুক্তি নবায়নের আরও কারণ হলো, ক্লাবও আমার
ওপর সন্তুষ্ট, একইভাবে কোচও আমাকে নিয়ে খুশি। আশা করি ক্লাবের ইতিহাসে নিজের নাম লেখাতে
পারব।”
প্যারিসে আসার পর দি মারিয়া দেখেছেন সতীর্থদের
ক্লাবের হয়ে ইতিহাস গড়তে। এছাড়া সময়ের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তার।
রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি তার জাতীয় দলের সতীর্থ। ২০১০ সাল থেকে
২০১৪ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায়ে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
বর্তমানে খেলছেন নেইমার-এমবাপেদের সঙ্গে। সেরাদের সঙ্গে খেলার এই সুযোগ যতটা সম্ভব
কাজে লাগাতে চান পিএসজির হয়ে মোট ১৬টি শিরোপা জয়ের স্বাদ পাওয়া দি মারিয়া।
“ছয় বছরে আমি দেখেছি
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, এদিনসন কাভানিদের মতো ফুটবলারদের এখানে ইতিহাস গড়তে। বর্তমানে
আমি খেলছি নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে, যারা ক্লাবের হয়ে ইতিহাস গড়ে চলেছে
এবং এটা অব্যাহত রাখতে চায়। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেরাদের সঙ্গে খেলার
সুযোগ সবাই পান না। এখানে আসার পর আমি সেই সুযোগ পেয়েছি এবং সবসময় সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর
চেষ্টা করি।”