ক্যাটাগরি

উইলিয়ামস-টিরিপানোর অসাধারণ প্রতিরোধে শেষ দিনে ম্যাচ

রশিদের সামনে যেখানে খাবি খেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বাকি ব্যাটসম্যানরা, সেখানে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে উদ্ধার করেন উইলিয়ামস। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শেষ করেন দিন।

৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গে দেন টিরিপানো। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে এই পেসার অপরাজিত ৬৩ রানে। ফলো অনে পড়া জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দেয় অষ্টম উইকেটে এই দুজনের ১২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৬ রান। তারা এখন এগিয়ে ৮ রানে। 

প্রথম ইনিংসের ৪টির সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে রশিদ খান যোগ করেন ৫ উইকেটে। ৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ ৫ উইকেট।

বিনা উইকেটে ২৪ রান নিয়ে শনিবার দিন করে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে ও কেভিন কাসুজা শুরুর কঠিন সময় কাটিয়ে দেন সাবধানী ব্যাটিংয়ে।

প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেতে দুজন অপেক্ষা করেন দ্বাদশ ওভার পর্যন্ত। অফ স্পিনার জাভেদ আহমাদিকে দুটি চার মারেন মাসভাউরে। এরপরই বিপত্তি। জাভেদ তার পরের ওভারে এসে ফিরতি ক্যাচে মাসভাউরেকে (১৫) ফিরিয়ে ভাঙেন ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

রশিদ বল হাতে নিয়ে দিনে নিজের প্রথম ওভারেই দেখা পান উইকেটের। তার গুগলিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন কাসুজা। দুই চারে ৯২ বলে ৩০ করেন তিনি।

দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামে। তারিসাই মুসাকান্দাকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন রশিদ। পরের ওভারে এসে ওয়েসলি মাধেভেরেকে ‘পেয়ার’-এর স্বাদ দেন অভিষিক্ত সায়েদ শিরজাদ। প্রথম ইনিংসে বাঁ হাতি এই পেসারের বলেই রানের খাতা না খুলতেই ফিরে যান তিনি।

টেস্টে টানা তিন ইনিংসে শূন্যতে আউট হলেন মাধেভেরে। নিজের প্রথম তিন ইনিংসেই ‘ডাক’ পাওয়া নবম ক্রিকেটার তিনি।

টেস্টে আরেকবার ৫ উইকেটের স্বাদ পান রশিদ খান। ছবি : জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।

টেস্টে আরেকবার ৫ উইকেটের স্বাদ পান রশিদ খান। ছবি : জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।

রশিদকে ছক্কায় উড়িয়ে রানের খাতা খোলেন সিকান্দার রাজা। পরের ওভারে তাকে আরেকটি ছক্কা মারেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার। যদিও ক্যাচের সুযোগ ছিল বাউন্ডারিতে। পরে আরেকটি ছক্কা মেরে শেষ পর্যন্ত তিনি স্লিপে ধরা পড়েন রশিদের বলেই। ৩ ছক্কায় করেন ৩৯ বলে ২২ রান।

তিন বল পরেই রায়ান বার্লকে এলবিডব্লিউ করে দেন রশিদ। তিনিও আউট হন দুই ইনিংসেই শূন্য করে। পরের ওভারে রেজিস চাকাভাকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন রশিদ।

১৪২ রানে তখন নেই জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেট। ইনিংস পরাজয় এড়াতে প্রয়োজন তখনও ১১৬ রান।

ততক্ষণে উইকেটে থিতু উইলিয়ামস। ৭৭ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে আগলে রেখেছেন এক প্রান্ত। খুঁজে ফিরছিলেন একজন সঙ্গী। হাত বাড়িয়ে দেন টিরিপানো।

দারুণ প্রতিরোধে দুজন হতাশ করতে থাকেন আফগানদের। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ১১৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন টিরিপানো।

উইলিয়ামস এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে তিনি পৌঁছান ১৭৩ বলে, রশিদকে চার মেরে। টেস্টে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।

দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে শেষ সেশনে ৩৪ ওভার ব্যাট করেও কোনো উইকেট হারায়নি জিম্বাবুয়ে। তাতেই ম্যাচ গড়ায় শেষ দিনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৪৫/৪ (ডি.)

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮৭

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: (ফলো অনের পর) ১০৩ ওভারে ২৬৬/৭ (মাসভাউরে ১৫, কাসুজা ৩০, মুসাকান্দা ১৫, উইলিয়ামস ১০৬*, মাধেভেরে ০, রাজা ২২, বার্ল ০, চাকাভা ০, তিরিপানো ৬৩*; শিরজাদ ১৯-৪-৩৫-১, রশিদ ৪৩-১০-১০৫-৫, হামজা ২৬-৬-৭০-০, জাভেদ ১৬-৫-৪০-১, শহিদুল্লাহ ১-০-১-০, আসগর ১-০-১-০)।