ক্যাটাগরি

টুইট প্রশ্নে মাস্কের বিরুদ্ধে শেয়ারধারী আদালতে

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মামলার অভিযোগে বিদ্যুতচালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, মাস্কের “খেয়ালী” টুইট এবং তাকে এসইসি সমঝোতার নিয়ম মানাতে টেসলা পরিচালকদের ব্যর্থতার কারণে শত শত কোটি ডলার হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অভিযোগে মাস্কের কয়েকটি টুইট তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গত মে মাসের ১ তারিখে করা একটি টুইট রয়েছে। ওই টুইটে মাস্ক লিখেছেন শেয়ারের দাম “অনেক বেশি”। ওই টুইটের ফলে টেসলার বাজার মূল্য থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল এক হাজার তিনশ কোটি ডলারেরও বেশি।   

মামলার বাদী চেস গ্যারিটি দাবি করেছেন, মাস্কের কর্মকাণ্ড এবং পরিচালকদের নিষ্ক্রিয়তা “যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি” সাধন করেছে এর মধ্যেই। নিজেদের জিম্মাদারী দায়িত্ব লঙ্ঘনের কারণে তাদের উচিত টেসলাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

মাস্কের ওই টুইটে টেসলার বাজার মূল্য থেকে এক হাজার তিনশ’ কোটি ডলার গায়েব হয়ে যাওয়ার পর অনেকদিন পার হয়েছে। এতোদিনে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। এখন টেসলার বাজার মূল্য ৬০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এমনকি এসইসি পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনেনি মাস্কের বিরুদ্ধে। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি, মামলা দায়ের করলেন শেয়ারধারী।        

“কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এটি এসইসি‘র উপর চাপ তৈরি করতে পারে।” – বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ডেলওয়্যারের অধ্যাপক এবং কর্পোরেট পরিচালন বিশেষজ্ঞ চার্লস এলসন।

পালো ক্যালিফোর্নিয়ার আল্টো-ভিত্তিক টেসলা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি এখনও। এ ছাড়াও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি মামলার বাদী গ্যারিটির আইনজীবিরা, মাস্কের আইনজীবিরা এবং এসইসি নিজেও।

এর আগে ২০১৮ সালের অগাস্টে মাস্ক টুইটে জানিয়েছিলেন, তিনি টেসলাকে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রূপ দিতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করেছেন। বাস্তবে ওই পরিমাণ অর্থের ধারেকাছেও সংগ্রহ করেতে পারেননি তিনি।

পরে মাস্ক এবং টেসলা দুই কোটি ডলার করে জরিমানা দেয়, এবং টেসলা আইনজীবিরা মাস্কের টুইট আগেভাগে দেখে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। পরে সমঝোতাটি সংশোধন করে ঠিক করে দেওয়া হয় -ঠিক কখন কখন টুইটের জন্য পূর্ব-অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে।