চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কো, জেডটিই কর্পোরেশন, হাইতেরা কমিউনিকেশনস কর্পোরেশন, হ্যাংঝু হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজি কো এবং ঝেজিয়াং ডাহুয়া টেকনোলজি কো।
উল্লিখিত আইনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি নির্মাতা এবং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেগুলি “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষার জন্য ঝুঁকি” তাদের শনাক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এফসিসিকে।
এফসিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জেসিকা রোজনওয়ার্সেল এক বিবৃতিতে বলেছেন: “গোটা দেশে যখন পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে তখন এই তালিকা একটি দিক নির্দেশনা দেবে যে, অতীতের ভুলগুলির যেন পুনরাবৃত্তি না হয় বা এমন সরঞ্জাম বা পরিষেবা যেন ব্যবহৃত না হয় যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বা মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”
২০১৯ সালের আইন অনুসারে প্রতিরক্ষা বিল থেকে নেওয়া মানদণ্ড আগেও ব্যবহৃত হয়েছিল এবং এই পাঁচটি চীনা প্রতিষ্ঠানকেই ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ২০২০ সালের আগস্টে মার্কিন সরকার এই পাঁচটি চীনা প্রতিষ্ঠানের যে কোনোটি থেকেই সেবা, পণ্য কেনা বা কোনোরকম বাণিজ্যিক যোগাযোগের বিষয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এফসিসি গত বছর হুয়াওয়ে এবং জেডটিইকে যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলির জন্য জাতীয় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানদুটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য ৮৩০ কোটি ডলারের সরকারি ক্রয় বরাদ্দ আটকে যায়।
ফেব্রুয়ারিতে হুয়াওয়ে পঞ্চম ইউএস সার্কিট কোর্টে এক আপিলের মাধ্যমে সরকারি ওই ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
এফসিসির নতুন ঘোষণা নিয়ে শুক্রবার হুয়াওয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।