প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। লেয়ন গোরেটস্কার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সের্গে জিনাব্রি। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান রবের্ত লেভানদোভস্কি। শেষ দিকে ব্যবধান কমান নিকলাস ফুলক্রগ।
গত নভেম্বরে দুই দলের প্রথম দেখায় টানা আটবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নকে তাদেরই মাঠে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল ব্র্রেমেন।
ফিরতি দেখায় শুরু থেকেই আধিপত্য করে আগের ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-২ গোলে হারানো বায়ার্ন। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরির পর ২২তম মিনিটে তারা এগিয়ে যায়।
জশুয়া কিমিচের কর্নার ফ্লিক হেডে গোলমুখে পাঠান টমাস মুলার। নিখুঁত হেডে ব্যবধান গড়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার গোরেটস্কা। ৩৫ তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলেও ছিল মুলারের সহায়তা। জার্মান ফরোয়ার্ডের দারুণ পাস পেয়ে কাছ থেকে নিচু শটে ব্যবধান বাড়ান জিনাব্রি।
বুন্ডেসলিগার এদিন নিজের ২৬৮তম গোলটি করেন রবের্ত রেভানদোভস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে দারুণ দুটি সুযোগ নষ্ট হয় লেভানদোভস্কির। ৫৪তম মিনিটে পোলিশ ফরোয়ার্ডের হেড বাম পোস্টে লেগে ফেরে। একটু পর তার নিচু শট গোলরক্ষক রুখে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বলে আবারও শট নেন গতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। এবার বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়।
৬৬তম মিনিটে লেভানদোভস্কির নিচু হেডও গোলরক্ষক রুখে দেন। তবে পরের মিনিটে আর আসরের শীর্ষ গোলদাতাকে রুখতে পারেননি তিনি। জটলার মধ্যে কিছুটা ফাঁকায় গোলমুখে বল পেয়ে সহজেই তা জালে ঠেলে দেন লেভানদোভস্কি। আসরে তার এটি ৩২তম গোল।
বুন্ডেসলিগায় সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাবেক জার্মান ফরোয়ার্ড ক্লাউস ফিশারকে স্পর্শ করলেন লেভানদোভস্কি। দুজনের গোলসংখ্যা এখন সমান ২৬৮। তাদের চেয়ে বেশি গোল কেবল জার্ড মুলারের, ৩৬৫টি।
৮৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। প্রথমে মিলোতের শট বামে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মানুয়েল নয়ার, কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল পেয়ে ফাঁকা জালে ঠেলে দেন ফুলক্রগ।
২৫ ম্যাচে ১৮ জয় ও চার ড্রয়ে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ।
২৫ ম্যাচে নবম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া ব্রেমেন ৩০ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বাদশ স্থানে।