যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে শুক্রবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা মিয়ানমারের প্রায় ১৬শ নাগরিক, যাদের মধ্যে কূটনীতিকরাও আছেন তারা ১৮ মাসের জন্য টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস (টিপিএস) পাচ্ছেন।
টিপিএস প্রকল্পের আওতায় ওইসব শরণার্থী যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধের কারণে নিজ দেশে নিরাপদে ফিরতে পারছেন না তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার এবং কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে টিপিএস নবায়নের সুযোগও রয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে দমনপীড়ন চলাচ্ছে, নির্বিচারে ধরপাড়ক চলছে এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি দিন দিন আরো বেশি খারাপ হচ্ছে। যে কারণে মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য নিজ দেশে ফেরা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই সুবিধা সবাই পাবেন না। ‘মিয়ানমার প্রকল্প’র আওতায় দেশটির ওইসব নাগরিক যারা এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং ২০২১ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত বসবাসের বৈধ অনুমতিপত্র আছে কেবল তারাই এই সুবিধা পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা মিয়ানমারের কয়েকজন কূটনীতিক সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলেছেন এবং গণতন্ত্রের পক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এমন একজন জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী দূত কিয়াও মোয়ে তুন।
বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই সব কূটনীতিক যারা সাহসের সঙ্গে মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন তারাও এই প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারবেন।
‘‘আমরা তাদের জানাতে চাই, আপনারা নিরাপদেই এ কাজ করতে পারবেন।”