শনিবার রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রুবেলের
মেয়ে যাওয়াতা আফনান রাদিয়া।
অর্থপাচারের মামলায় ফরিদপুর
শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস
ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের সাড়ে পাঁচ হাজার বিঘার বেশি জমি ও অস্থাবর
সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে
সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায়
অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ
অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের
পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আব্বু
এবং কাকার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক আঘাত করা হচ্ছে। সেটা যদি না হত তদন্তকারী
সংস্থাগুলোর বক্তব্যে এমন বৈপরীত্য কেন? অপ্রদর্শিত আয়ের একই মামলা সিআইডি করল ২০০০
কোটি টাকার আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করল ৭২ কোটি টাকার।
“আমার আব্বু এবং কাকার লাইসেন্সকৃত
চারটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরপরও তারা কেন অবৈধ অস্ত্র রাখবেন? তারা কোনো সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডে সঙ্গে তো জড়িত না। ৭ জুন গ্রেপ্তারের আগে তাদের নামে কোনো মামলাও ছিলো না।”
রাদিয়া তার পরিবারের রাজনৈতিক
পরিচয় তুলে ধরে বলেন, “আমার বাবা (রুবেল) সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। চাচা (বরকত)
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এখন বলার চেষ্টা করা হচ্ছে আব্বু এবং
কাকা আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা। আমার দাদা মরহুম আব্দুস ছালাম মণ্ডল ফরিদপুর পৌরসভার
১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আমার
দাদার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূক রাজনৈতিক মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে তিন মাস কারাবাসও
করতে হয়।
আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু
রাজাকার নামে তাদের কোনো আত্মীয় নেই দাবি করে তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের খোঁজ নেওয়ার
অনুরোধ করেন।
রুবেল ও বরকতের সব সম্পদ
বৈধ দাবি করে রাদিয়া বলেন, “আমার বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার ৭০৬ বিঘা জমির যে
প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে তা অসত্য, তাদের সকল সম্পদই বৈধ।”
সংবাদ সম্মেলনে রাদিয়ার সঙ্গে
রুবেলের ছেলে আদিয়াত হাসান রাফিম ও বরকতের মেয়ে ইসরাত জাহান আদ্রিতিও ছিলেন।