গত বছরের শেষ রাউন্ডে লা লিগায় প্রথম দেখায় এলচের মাঠে ১-১ ড্র করার তিক্ত অভিজ্ঞতা তো ছিলই। আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে শনিবার ফিরতি পর্বেও হতে পারতো তেমন কিছু।
দ্বিতীয়ার্ধের ষোড়শ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর বেনজেমার গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপর একের পর এক আক্রমণ করেও সাফল্য পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে যোগ করা সময়ে ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোলে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
গত সপ্তাহে আতলেতিকোর মাঠেও শুরুতে গোল হজমের পর ওই ম্যাচ দিয়েই চোট কাটিয়ে ফেরা বেনজেমার ৮৮তম মিনিটের গোলে ১ পয়েন্ট পায় রিয়াল। একই পরিস্থিতি ছিল তার আগের রাউন্ডেও। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৮৯তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলে ১-১ ড্র করেছিল জিদানের দল।
বারবার হৃদস্পন্দন বাড়ানোর এমন অবস্থার সৃষ্টি না করে শিষ্যদের একটু আগেভাগে গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে বললেন জিদান।
” ঘুরে দাঁড়াতে দল যে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় রেখেছে, তা ভালো লেগেছে। তবে, আরেকটু আগে গোল পেলে আমি আরও খুশি হতাম।”
“আমি এমন ম্যাচ চাই যেন আরেকটু স্থির থাকতে পারি।”
উত্তেজনায় ঠাসা এই ম্যাচে পা হড়কালে লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে আরও পিছিয়ে পড়ত রিয়াল। আবার এমন শ্বাসরুদ্ধকর জয়ই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতালান্তার বিপক্ষে আসছে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে রিয়ালকে।
ম্যাচ শেষে জিদানের কণ্ঠেও ফুটে উঠল জয়ে ফেরার স্বস্তি। আতালান্তা ম্যাচের আগে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয়ে এগিয়ে থেকে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে খেলতে নামবে রিয়াল।
“এই জয় আমাদের জন্য দারুণ ইতিবাচক। লিগে পয়েন্ট পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে মঙ্গলবারের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়াটাও জরুরি।”
“আমরা দুটি প্রতিযোগিতায় টিকে আছি। নিজেদের ওপর আস্থা রেখে দুটিতেই আমরা লড়াই করে যাব।”
শনিবার রাতে আতলেতিকো হোঁচট খাওয়ায় আরেকটু জমে উঠেছে শিরোপা লড়াই। গেতাফের মাঠে গোলশূন্য ড্র করা দিয়েগো সিমেওনের দল ২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে।