ক্যাটাগরি

‘ট্রিপল নাইনে ফোন করার পর হামলার শিকার’

গত শুক্রবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদাহ এলাকায় এই হামলা হয় বলে আসাদুল হক নামের এই ব্যক্তির অভিযোগ।

আসাদুল হক জানান, এই ঘটনায় তিনি শনিবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আসাদুল জুনিয়াদাহ এলাকার ফয়জুল্লাপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে।

অভিযোগে স্থানীয় কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আলমগীর, মামুন, মিলন, শাকিল, রুবেল, আসমান, রাবিকসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এদের সবাই ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর এবং পাশের দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, “আসাদুল হক নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভেড়ামারা থানাকে নির্দেশ দিয়েছি মামলা করতে। ওটা মামলা হয়ে গেছে।”

তবে এক্ষেত্রে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কিনা সেটাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এসপি জানান।

অভিযোগে বলা হয়, গত শুক্রবার [১২ মার্চ] সকাল ৯টার দিকে জুনিয়াদাহ এলাকায় আসাদুলের বাড়ির পাশে পদ্মা নদীতে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ হয়। এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ‘স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চেয়ে না পাওয়ায়’ পরে জাতীয় জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন আসাদুল।

এরপর সেখান থেকে তারর সঙ্গে ভেড়ামারা থানার ডিউটি অফিসারের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় বলে আসাদুল অভিযোগে উল্লেখ করেন।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, ভেড়ামারা থানার ডিউটি অফিসার তার [আসাদুলের] নাম ও মোবাইল নম্বর তৎক্ষণাৎ কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জাহাঙ্গীরকে দেন।

“আমার নম্বরে কল দেয়ার আগেই কোনোভাবে ওই পুলিশ অফিসার সন্ত্রাসীদের সতর্ক করে দেন এবং আমার নাম-পরিচয় তাদের কাছে বলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলেন।

“পরে আমার নম্বরে দারোগা জাহাঙ্গীর কল দিয়ে হুমকির সুরে বলেন- ‘তুই ফাজলামি করিস, আমি খবর নিয়ে দেখেছি এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটেনি’। এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।”

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, “এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলের পাশে আমাকে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আশপাশের কৃষকরা ছুটে এসে লাঠি দিয়ে তাদের মারধর শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।”

পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান।