রোববার আইনজীবী আব্দুর রহমানের মাধ্যমে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বাদী পক্ষে শাহাজাহান খানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ জসিম তাদের জামিনের আদেশ দেন।
গত ১১ জানুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ বাংলা হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ বশীর আহমেদ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ক্রাউন সিমেন্টের সিনিয়র অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এম ফেরদৌস আলম ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. সুজন আলী। গত ১ মার্চ এই তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর ভাটারা থানাধীন ৯৭০৮, মাদানি এভিনিউয়ে বাদীর ‘গ্রামীণ বাংলার অক্ষয় টাওয়ার’ এর বেজমেন্ট ফ্লোর ঢালাইয়ের জন্য চার হাজার ৫০০ পিএসআই স্ট্রেন্থের রেডিমিক্স সরবরাহের চুক্তি হয় ক্রাউন সিমেন্টের সঙ্গে।
কিন্তু ঢালাইয়ের সময় রেডিমিক্সের গুণগতমান নিয়ে সন্দেহ হয় এবং আসামিদের লিখিত ও মৌখিকভাবে তা জানানো হয়।
পরে ঢালাইয়ের নমুনা বুয়েটে পরীক্ষা করেও রেডিমিক্স চার হাজার পিএসআই স্ট্রেংথের চেয়ে নিম্নমানের বলে জানা যায়।
এরপর বাদী লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলেও আসামিরা কোনো পদক্ষেপ নেননি।