ঢাকা
সফররত সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী রোববার রাজধানীতে এক
অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
ফরেন
সার্ভিস একাডেমিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুস কনসেপ্ট অব সোনার বাংলা, সুইডশি
মডেল অব ওয়েলফেয়ার স্টে অ্যান্ড টকিং দ্য গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস অব টুমোরো’ শীর্ষক
আলোচনায় মূল বক্তা ছিলেন তিনি।
আলোচনা
শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ওলসন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল
দেশে উন্নীত হওয়ার সুপারিশ পেয়েছে; এখন উচিত নিজেকে বৈদেশিক বিনিয়োগের চমৎকার
স্থান হিসেবে তৈরি করতে আরও বেশি কাজ করা করা। কিভাবে সেটা হতে পারে, সেদিকে আরও
নজর দিতে হবে।
“আমি
নিজে বেসরকারি খাতের মানুষ নই। কিন্তু আমার দেশে বেসরকারি সংস্থাগুলো যা বলে, তাই
বলছি- ক্লিন এনার্জি এবং সামাজিক সংলাপ যেখানে উপস্থিত সেখানেই, তারা বিনিয়োগ করতে
আগ্রহী। বাংলাদেশ এখানে কাজ করতে পারে।”
বাংলাদেশের
উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “গত এক দশকে বাংলাদেশ এবং এর জনগণ অভূতপূর্ব
উন্নয়ন করেছে। আমরা এই উন্নয়নের সহযোগী হতে পেরে আনন্দিত।”
১৯৭২
সালে সুইডেন বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পাঁচ বছর পর দেশটি
ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন করে।
শনিবার
এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশ পৌঁছান ওলসন। সফরে তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের
নীতি নির্ধারক ব্যক্তি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি
সুইডেনের অনুদানে পরিচালিত দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মসূচি এবং উন্নয়ন কাজ
দেখবেন।
অনুষ্ঠানে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে বলেন, “বাংলাদেশ
মানবতার খাতিরে ১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে। বিশ্ব মানবতা
তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
“কিন্তু
শুধুমাত্রা মানবিক সহযোগিতা নয়, মিয়ানমারের এই নাগরিকদের টেকসই উন্নয়নের জন্য
সম্মানের সাথে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
ইউরোপের
বাজারে বাংলাদেশের জুতা, চামড়াজাত পণ্য ও তৈরি পোশাকের আরও বেশি প্রবেশাধিকারের
জন্য সুইডেনের সহযোগিতা চান আব্দুল মোমেন।