এ ব্যাপারে ক্লাস অ্যাকশন একটি মামলা দায়ের হওয়ার কথা রয়েছে। গুগল অবশ্য ওই মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু বিচারক লুসি কোহ প্রতিষ্ঠানটির সে আবদারে সাড়া দেননি।
বিচারক কোহ বলছেন, ইনকগনিটোর গোপনতা মোড সক্রিয় থাকলেও গুগল যে ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করছে, সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি তাদের “অবহিত করেনি”। ফলে মামলার বাদীদের হাতে যথেষ্ট কারণ রয়েছে মামলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার।
মামলার প্রধান অংশগ্রহণকারীরা গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করার অভিযোগ তুলেছেন। তাদের ভাষ্যে, গুগল ব্যবহারকারীকে তথ্য গোপন থাকবে বলা স্বত্ত্বেও তাদের অভ্যাসের উপর নজর রেখেছে।
গুগল এতো সহজে এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীরা গোপনতা নীতিতে সম্মতি দিয়েছে, এবং এ কারণে আগে থেকেই জানার কথা যে গুগল ডেটা সংগ্রহ করছিল। তারা বরাবরই সতর্ক করেছে, “ইনকগনিটো মানে অদৃশ্য নয়,” এবং সাইট তাদের কর্মকাণ্ড দেখতে পাচ্ছে।
মামলা আদৌ সফল হবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। সাধারণত সফল ক্লাস অ্যাকশন মামলায় বড় অংকের ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন ভুক্তভোগীরা। ওই বড় অংক পরে ভাগ হয়ে যায় তাদের মধ্যে।
গুগল এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।