ক্যাটাগরি

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ঢাকা লিগ, দিনে ৬ ম্যাচ

গত বছর এক রাউন্ড হয়েই স্থগিত হয়ে যাওয়া টুর্নামেন্টেরই ধারাবাহিকতা এটি, ২০১৯-২০ মৌসুমের লিগ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে গত মার্চে ৫০ ওভারের সংস্করণে শুরু হওয়া লিগের ওই এক রাউন্ড বাতিল হয়ে যাবে পুরোপুরি।

বিসিবিতে রোববার লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানান বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের চেয়ারম্যান (সিসিডিএম) কাজী ইনাম আহমেদ।

“আমরা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগটাকে আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটির উইন্ডো পাচ্ছি মে মাসের ৬ তারিখে। খুবই কঠিন পরিস্থিতি, কারণ আমাদের হাতে খুব অল্প সময় আছে। আমরা দুটি উইন্ডোতে ৬ দিন এবং আপাতত ১৫ দিন পেয়েছি, হয়ত আরও তিন দিন যোগ করা যাবে।”

“সব ক্লাবের প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি এবং একমত হতে পেরেছি যে, এই লিগটাকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে করতে হবে। গত বছর যে একটা ম্যাচ (রাউন্ড) হয়েছিল, এটা সেই লিগেরই ধারাবাহিকতা। সেই একটা ম্যাচ (রাউন্ড) আমরা বাতিল করে দিচ্ছি।”

৬ মে শুরু হয়ে ৬ দিন খেলা হওয়ার পর ঈদ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বিরতি থাকবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হতে পারে ২০ মে। তিন ম্যাচের ওই সিরিজ শেষে আবার শুরু হবে লিগ।

২০১৯ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলিকে নিয়ে একটি আলাদা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হলেও মূল প্রিমিয়ার লিগ ২০ ওভারের সংস্করণে হবে এবারই প্রথম। নতুন চেহারার লিগেও বরাবরের মতো সুপার লিগ, রেলিগেশন লিগ থাকবে।

সিসিডিএম চেয়ারম্যান জানালেন, বিকেএসপির দুই মাঠ ও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হবে খেলা। তিন মাঠে দুটি করে, প্রতিদিন ৬টি ম্যাচ হবে।

নতুন করে শুরু হলেও এটি যেহেতু গত মৌসুমের লিগ, ক্রিকেটারদের দলও তাই একই থাকবে বলে নিশ্চিত করলেন কাজী ইনাম।

“গত বছর যেহেতু সব ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ ছিল দলের সঙ্গে, সেই ক্রিকেটাররা সে দলেই খেলবে। ক্লাবের দিকটাও আমাদের দেখতে হবে।  যেহেতু বেশিরভাগ ক্লাব ইতোমধ্যেই ৩০-৪০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে দিয়েছে, সেহেতু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্রিকেটাররা যে ক্লাবের সঙ্গে ছিল, সেই ক্লাবেই থাকবে।”

তবে ক্লাব একই থাকলেও পারিশ্রমিক একই থাকবে না, মোটামুটি নিশ্চিত করে দিলেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।

“এখানে কিছু সুপারিশ এসেছে, কিছু আলোচনাও হয়েছে। এর আগে আমার কোয়াবের (ক্রিকেটারদের সংগঠন) সঙ্গে ও ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে কিন্তু আমরা লিগটা করছি। ক্রিকেটাররা বলেছে, ‘যেভাবে হোক লিগটা আমরা খেলতে চাই। আপনারা দরকার হলে পারিশ্রমিক কমিয়েও খেলার মধ্যে ফিরিয়ে আনেন।’ সেই আলাপটা আমরা করেছি।”

“ক্রিকেটারদের একটা মতামত আছে, সেদিকটা আমাদের দেখতে হবে। ক্লাবদেরও মতামত আছে। তারাও কিন্তু মহামারির কারণে ব্যবসায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। স্পন্সর যারা আছে, তাদের কাছ থেকে হয়তো আগের মত সাড়া পাবে না। সব জিনিসগুলো দেখে বোর্ড ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে আমরা সিদ্ধান্তে আসব। কেমন অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে এবং হলে কতটুকু হবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।”