পুলিশ বলছে, যমজ দুই ভাই মিলে চাকরি দেওয়ার নামে ওই ছাত্রকে অপহরণ করে।
বাকলিয়া থানার ক্ষেতচর বাস্তুহারা কলোনি থেকে শনিবার গভীর রাতে দুই জমজ ভাইয়ের একজনকে জিসান উদ্দিন রোকনকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়।
তার আরেক ভাইয়ের নাম জিয়াম উদ্দিন আরমান। যিনি মাদ্রাসাছাত্র অপহরণের কিছুদিন একটি চুরির মামলায় ধরা পড়ে কারাগারে আছেন।
দুই ভাই মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের ঘটনাটি ঘটান গত ৬ মার্চ।
বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে নিয়ে যান রোকন ও আরমান।
“পরে তারা ওই ছাত্রের বাবাকে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথামত তার বাবা ‘নগদ’ অ্যাপসের মাধ্যমে সাড়ে নয় হাজার টাকা পরিশোধ করলেও তাকে না ছাড়ায় বাকলিয়া থানায় অভিযোগ করেন।”
ওসি বলেন, “অপহৃত কিশোর মাদামবিবির হাটের ‘ইমাম হোসেন হেফজ মাদ্রাসার’ ছাত্র। ৬ মার্চ সন্ধ্যায় চকরিয়ায় বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠতে সে শাহ আমানত সেতু এলাকায় মাইক্রো স্ট্যান্ডে এসেছিল।
“সেখানে রোকন ও তার ভাই আরমান ওই ছাত্রকে চাকরি করবে কিনা জানতে চায়, সে রাজি হওয়ায় তাকে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তার বাবার নম্বরে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে।”
তিনি বলেন, “যে নম্বর থেকে তারা মুক্তিপণ দাবি করেছিল সেটি ছিল চোরাই নম্বর। অভিযোগ পেয়ে আমরা মোবাইল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে জানিয়েছে দুই মাস আগে তার বাসা থেকে মোবাইল ফোনটি চুরি হয়। কিন্তু তার নামে নিবন্ধন না থাকায় থানায় অভিযোগ করেননি।”
এর মধ্যে এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকায় ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে রাতে ক্ষেতচরে অভিযান চালিয়ে রোকনকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।
“রোকন জানিয়েছে, তারা দুই ভাই মিলে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।”
এ মামলায় আরমানকেও গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান ওসি রুহুল আমিন।
আরমান আগেও অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা ফের এ কাজ করেন।