রোববার ঢাকায় নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি এখন ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে কথা বলছে, যা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের মধ্যে পড়ে না।
“তাদের দৃষ্টি এখন কে কী পোশাক পরল, কে কত টাকার ঘড়ি পরল ইত্যাদি। বিএনপি রাজনীতি ভুলে এখন ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করছে।”
বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘গভীর হতাশায় নিমজ্জিত’ এবং সে কারণে তারা ‘তীব্র মনঃপীড়ায় ভুগছে’ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “বিএনপি নেতারা অদৃশ্য সুতার টানে নাচেন। রাজনীতি ভুলে ব্যবহার্য বিষয় এখন তাদের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ইতিহাসের মীমাংসিত সত্যকে ’বিকৃত করতেই’ বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা কাদের।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ না কি দেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে…; আওয়ামী লীগ নয়, রাজতন্ত্র আর পরিবারতন্ত্র চর্চা বিএনপিরই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বিএনপির শাসনামলে বেগম জিয়ার পাশাপাশি এক যুবরাজ সরকারের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত, গড়ে তুলেছিলেন বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র, যাকে বলা হত দুর্নীতির বরপুত্র।
“অপরদিকে জনগণ চাইলেও প্রধানমন্ত্রী তার সন্তানদের সক্রিয় রাজনীতিতে আনেননি। রাজতন্ত্র কিংবা পরিবারতন্ত্র তো তারাই (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা দলে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদের বাদ দিয়ে একজন অপরাধীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে রেখেছে। বিএনপি সমালোচনার নামে প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার, এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যাচার চালাবে, আর এর জবাব দিলে বিএনপির কেন এত গাত্রদাহ হয়?”
আরও পড়ুন
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী: ৩০ মার্চ ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
ইতিহাস বিকৃতি থেকে বেরোতে পারেনি বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করেছে বিএনপি: কাদের
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে বিএনপির কমিটি
ঘড়ি একটাও নিজের কেনা নয়, উপহার: কাদের