রোববার স্থানীয় সময় বিকালে কলকাতার হাজরা মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় যোগ দেবেন তিনি, হুইলচেয়ারে বসেই বক্তৃতা করবেন; জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
বুধবার নির্বাচনী প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা। রেয়াপাড়ায় মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে মাথায়, কপালে ও পায়ে চোট পান তিনি।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তার পায়ে প্লাস্টার করা হয়।
চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার প্রস্তাব দিলেও তিনি হাসপাতালে থাকতে চাননি। বারবার অনুরোধ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেড়ে দেন তারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের বিছানা থেকে এক ভিডিও বার্তায় মমতা বলেছিলেন, প্রয়োজনে হুইলচেয়ার ব্যবহার করে হলেও দ্রুত রাজনৈতিক কাজে ফিরতে চান তিনি।
কিন্তু চিকিৎসরা বলেছিলেন, বাড়ি ফিরলেও এখনই সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে পারবেন না মমতা। কয়েক দিন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে তাকে।
‘সব নিয়ম মেনেই চলাফেরা করবেন’ বলে চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করলেও আঘাত পাওয়ার চার দিন পর প্লাস্টার করা পা নিয়েই হুইলচেয়ারে বসে রাজনীতির মাঠে নেমে যাচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সী মমতা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, রোববার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবে মমতার রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। হাজরায় মিছিল শেষ হওয়ার পর সেখানেই সভা হবে। এই সভাইতেই যোগ দেবেন মমতা।
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে দলটির এ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গে ২৭ মার্চ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। নির্বাচনে আট পর্বে ভোট গ্রহণ শেষে ২ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মমতা। এই আসনে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তার সাবেক সহযোগী শুভেন্দু অধিকারী ও বামফ্রন্টের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতার ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নন্দীগ্রামের পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীর কলকাতার টালিগঞ্জের আসন থেকে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।