তার যোগদান উপলক্ষ্যে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুনতাসীর মামুন বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠান টিকে থাকে মানুষের জন্য, ইতিবাচক কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করতে চান, তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।’’
তিনি বলেন, “আমরা নানাভাবে আমাদের স্বায়ত্তশাসনের বিধিমালা লঙ্ঘন করছি। আমরা সুযোগ করে দিয়েছি বলেই আমাদেরকে আজ এত হেয় করে দেখা হচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা সরকারের সমর্থক হলেও আমরা শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভালো শিক্ষক হতে হলে ভালো পড়তে হবে এবং ভালো গবেষণা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, “আমরা একবছর ধরে যোগ্য একজন গবেষক খুঁজেছি। আমরা বিশ্বাস করি, একজন যোগ্য ব্যক্তিকে এ চেয়ারের দায়িত্ব দিতে পেরেছি। যিনি যোগ্যতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু চেয়ারকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিনেট সদস্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন মহীবুল আজিজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. গাজী সালেহ উদ্দীন, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট মাইনুল হাসান, হাটহাজারী উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা ও তার স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু চেয়ার সৃষ্টি করা হয়েছে। যে ব্যক্তি এই পদে নিযুক্ত হবেন, তার মূল কাজ হবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৯তম সিন্ডিকেট সভায় মুনতাসীর মামুনকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের আপত্তি সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’র দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। পরের বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে সম্মানজনক এই পদবি ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।