সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ
রবিউল আলমের আদালতে এ মামলার বাদী র্যাবের ডিএডি মজিবুর রহমানসহ চারজন সাক্ষ্য
দেন।
অপর তিন সাক্ষী হলেন- র্যাবের এএসআই
সানাউল্লাহ, সিপাহী আনিসুর রহমান ও নায়েক নুরুল হক।
পরে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীর।
বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার
নামে প্রতারণা এবং পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে গতবছর জুলাই মাসে রিজেন্ট
হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় র্যাব। ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের নানা দুর্নীতির
তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে এরপর।
সাহেদের খোঁজে অনুসন্ধানের মধ্যেই ওই বছর
১৪ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা এলাকার বরুণ বাজার থেকে মাসুদ পারভেজকে
গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকেও ধরে
আনার কথা জানায় র্যাব।
সাহেদকে ঢাকায় আনার পর উত্তরা ১১ নম্বর
সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে তার একটি অফিসে অভিযান
চালানো হয়। সেখানে প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া যায় বলে সে সময় র্যাবের
পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ওই ঘটনায় র্যাব-১ কর্মকর্তা মজিবুর
রহমান বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা
আইনে এই মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই
মোহাম্মদ জাকির হোসেন গত বছরের ১ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার
অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে
বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ঢাকার একটি
মামলায় গতবছর সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সাতক্ষীরায় অস্ত্র আইনের
আরেকটি মামলায় তার বিচার চলছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাহেদের প্রতারণা-জালিয়াতিতে
ভুক্তিভোগিরাও কয়েক ডজন মামলা করছেন তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
জাল নোটের মামলায় সাহেদ অভিযুক্ত