ক্যাটাগরি

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি: ইউজিসির সাক্ষ্য গ্রহণ

রোববার দুপুর ১টায় তদন্ত কাজ শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে ইউজিসির তদন্ত দল।

তাদের মধ্যে অভিযোগকারী সাত শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, ভিসির ব্যক্তিগত সহকারী আমিনুর রহমান রয়েছেন।

এর আগে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন এবং তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের এ ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।

কমিটি প্রধান বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, আমরা সাত শিক্ষক ও কয়েকজন কর্মকর্তার বিভিন্ন সময়ে দেওয়া ১১১টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে এসেছি।

“উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দালিলিক প্রমাণাদিসহ সাক্ষী ও অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগের সবগুলো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার বিষয়টি প্রধান অভিযোগ।

এছাড়া বিভিন্নজনের দায়িত্ব ভিসি একাই পালন করেন, ইচ্ছামতো নিয়োগ দেন— এ রকম অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে। এসব বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারীদের ছাড়াও আর যাদের সাক্ষ্য নেওয়া দরকার তাদের নেওয়া হচ্ছে বলেন তিনি।

তদন্ত কমিটি অনেক আগেই কাজ শুরু করেছে জানিয়ে ড. বিশ্বজিৎ আরও বলেন, “ইতোমধ্যে অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ দুই পক্ষের কাছ থেকে নিয়েছে। ক্যাম্পাসে সরেজমিনে প্রত্যেক অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে তথ্য-প্রমাণের কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে।”

তদন্ত শেষে উপাচার্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

তবে তদন্ত চলাকালে ক্যাম্পাসে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন না।