সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ভোক্তা অধিকারকে ‘গণমানুষের অধিকার’ হিসাবে বর্ণনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “তাদের অধিকার যেন নিশ্চিত করা হয়, তাদেরকে যেন অধিকার সচেতন করা যায়, সেজন্যই সরকারের এই উদ্যোগ।
“ভোক্তা চূড়ান্তভাবে জনগণ। তারা যেন ভালো থাকে, ন্যায্য মূল্যে জিনিস কিনতে পান, সেজন্য আমাদের দেশে ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার আইন করা হয়েছে। তারপর থেকে কাজ শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার। ভোক্তা হিসাবে মানুষের যে অধিকার আছে সেটা সম্পর্কে তাদেরকে জানান এবং তাদেরকে অধিকার বুঝিয়ে দিন। এই দুটোই হচ্ছে এই সংস্থার কাজ।”
গত বছর মহামারীর মধ্যেও ভোক্তা অধিকারের কর্মীরা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ‘ঝুঁকি’ নিয়ে মাঠে থেকে কাজ করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা শুনি তাদের লোকবল কম। তারপরেও সীমাবদ্ধতার মধ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
“করোনাকালে যখন আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম না, সেই সময়টাতে ভোক্তা অধিকারের কর্মীরা সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। জীবনকে তুচ্ছ করে তারা মাঠে থেকেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের মহাপরিচালকসহ ১৯ জন আক্রান্ত হতে শুনেছি।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আগামীতেও কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “দায়িত্বটা সততার সাথে পালন করুন। মানুষকে সচেতন করুন, তাদেরকে তাদের অধিকারের নিশ্চয়তা দিন।”
অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব কেএম আলী আজম বলেন, “প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু দূষণ কীভাবে রোধ করা যায় সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
“প্লাস্টিক শিল্প নীতিমালা করা হচ্ছে। সেখানে দূষণ রোধের দিক নির্দেশনাগুলো থাকবে। যিনি প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন, তিনিই সংরক্ষণ করবেন এমন একটি ধারণা প্রবর্তন করা হচ্ছে।“
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, “ভোক্তা অধিকারের কর্মীরা করোনার সময় মাঠে থেকে যে কাজ করেছে মন্ত্রণালয় থেকে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
‘মুজিব বর্ষের শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালন করা হচ্ছে এবারের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস।
বাংলাদেশে ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস হয়।
পুরনো খবর
‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে সব অভিযোগ নিষ্পত্তি’