ক্যাটাগরি

অ্যামাজনে এলজিবিটিকিউদের মানসিক অসুস্থ বলা বইয়ের স্থান নেই

লেখক রায়ান টি. অ্যান্ডারসনের ‘হেয়েন হ্যারি বিকেইম স্যালি: রেসপন্ডিং টু দ্য ট্রান্সজেন্ডার মুভমেন্ট’ বইটির কোনো প্রিন্ট, ই বুক বা অডিও বুক কেন সাইটটিতে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যামাজন তার অবস্থান জানায় বলে উঠে এসেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে।

মিডিয়ায় মানুষের লিঙ্গ পরিচয় যেভাবে চিত্রিত হয় তার পাশাপাশি এই বিষয়ে জননীতির বিশ্লেষণ কেমন হতে পারে তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা রয়েছে বইটিতে। আদতে এই উত্তর খোঁজার বিষয়টি নির্দোষ অন্মেষণ মনে হলেও বইটিতে ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের চিত্রিত করার বেলায় লেখক বিজ্ঞানের চেয়ে ভাবাদর্শকেই বেছে নিয়েছেন বলে গ্রন্থ সমালোচনায় উল্লেখ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।

অ্যামাজনের  জন নীতিমালা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান হুসম্যান বলছেন, “আমাদের স্টোরগুলিতে যে সব পণ্য বিক্রি করি সেগুলো সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করি এবং নিয়মিতভাবে আমাদের পদ্ধতির পর্যালোচনা করি”।

“এলজিবিটিকিউ+ পরিচয়কে মানসিক রোগ হিসাবে চিহ্নিত করে করে এমন বই বিক্রি না করার পথ আমরা বেছে নিয়েছি।”– বলেন তিনি।

উল্লিখিত ওই চিঠিতে ফ্লোরিডার মার্কো রুবিও, ইউটা’র মাইক লি, ইন্ডিয়ানার মাইক ব্রাউন এবং মিসৌরির জশ হাওলি বলেছেন, “অ্যামাজনের এই পদক্ষেপ আসলে জানিয়ে দিচ্ছে যে, প্ল্যাটফর্মটি রক্ষণশীল আমেরিকানদের মতামতকে স্বাগত জানায় না”।

হুসম্যান দাবি করছেন, অ্যামাজন তার গ্রাহকদেরকে “বিভিন্ন ধরনের পণ্য থেকে বেছে নিতে দেয় যা নানারকম মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে”।

অপরদিকে লেখক অ্যান্ডারসন বলছেন, আমাজন মতামতের প্রকাশকে বাধা দিচ্ছে। “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করে দেওয়া থেকে ভালো কিছু আসতে পারে না।” – তিনি বলেন।

“অ্যামাজন তার বিশাল ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধারণার এই প্ল্যাটফর্মটিকে বিকৃত করে ফেলছে এবং এর মাধ্যমে তার ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করছে।”

অ্যামাজন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।