কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগে তার স্ত্রী আরজুমান আরা বাদী হয়ে সোমবার ২ নম্বর আমলি আদালতে এই আবেদন করেন।
বিচারক এস.এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান বিকালে শুনানি শেষে এই বিষয়ে আদেশের সময় নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে রোববার একই আদালতে আলাউদ্দিন হত্যায় আরেকটি মামলা আবেদন হয়েছিল। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা কোম্পানীগঞ্জ থানাকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে।
আরজুমান আরার মামলার আবেদনে আবদুল কাদের মির্জা ছাড়াও তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাসিক মির্জাসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়; এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগের বরাতে বাদীর আইনজীবী হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় বসুরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করেন। এই সময় হামলাকারীরা ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করেন।
এই ঘটনায় আরজুমান আরা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় বাদী আদালতের স্মরাণাপন্ন হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের সময় থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় দ্বন্দ্বের বিষয় প্রকাশ্যে আসে।
এর জেরে ১৯ ফেব্রুয়ারি চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এরপর গত ৯ মার্চ রাতে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন (৩২)।
এর একদিন আগে [৮ মার্চ] খিজির হায়াত খান অীভযোগ করেন, ওইদিন বিকালে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছিলেন। সে সময় হঠাৎ কাদের মির্জা ও তার ছোটো ভাই শাহাদাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তার পাঞ্জাবি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন কাদের মির্জা। তাকে বসুরহাট বাজারে আসতেও নিষেধ করেন মির্জা।
তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটো ভাই কাদের মির্জা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন
কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ