নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে স্পিনারদের রাজত্বের তৃতীয় টেস্টের পিচে প্রায় শুরু থেকেই টার্ন ছিল। ম্যাচ শেষ হয়ে যায় দুই দিনেরও কম সময়ে। দুই দলের পতন হওয়া ৩০ উইকেটের ২৮টিই নেন স্পিনাররা।
প্রথম ইনিংসে ১১২ রানে গুটিয়ে যাওয়া সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ৮১ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৪৫ রান করা স্বাগতিকরা পরে ৪৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
ম্যাচের স্থায়িত্ব ছিল কেবল ১৪০.২ ওভার। ১৯৩৫ সালের পর যা সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী টেস্ট। ম্যাচটি জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। উইকেটের সমালোচনায় মাতেন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি যদিও পিচকে ‘খুব ভালো’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
চেন্নাইয়ে ভারতের ৩১৭ রানে জেতা দ্বিতীয় টেস্টের পিচকেও ‘গড়পড়তা’ রায় দিয়েছে আইসিসি। একই মাঠে হওয়া প্রথম টেস্টের উইকেটকে ‘খুব ভালো’ ও আহমেদাবাদে শেষ টেস্টের পিচকে বলা হয়েছে ‘ভালো’, যে ম্যাচ জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
নিয়ম অনুযায়ী, পিচ ও আউটফিল্ডের রেটিং দিয়ে থাকেন ম্যাচ রেফারি। এক্ষেত্রে অবশ্য পুরো সিরিজেই ম্যাচ রেফারি ছিলেন সাবেক ভারতীয় পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ।
কোনো পিচ ‘গড়পড়তার নিচে’ রেটিং পেলে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় একটি। আর ‘নিম্নমানের’ উইকেটের জন্য ডিমেরিট পয়েন্ট তিনটি। ‘অনুপযুক্ত’ হলে ডিমেরিট পয়েন্ট পাঁচটি।
পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ৫ ডিমেরিন্ট পয়েন্ট পেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। ১০ পয়েন্ট পেলে নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের।