ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
এ পাঁচ জন হলেন- ইসির উপসচিব কুষ্টিয়ার সাবেক সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম; ফরিদপুরের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া সদরের সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান; সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কুমারখালীর সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ছামিউল আলম; চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া সদরের সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশ ও কুষ্টিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক জিএম সাদিক।
কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে শত কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গত সেপ্টেম্বরে এ চক্রের প্রধানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানায়, একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে রেজিস্ট্রেশন দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অন্যের জায়গা-জমি দখল করে আসছিল।
এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর শহরের এনএস রোডের বাসিন্দা এমএমএ ওয়াদুদ এ প্রতারক চক্রের ১৮ সদস্যের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।
এরই মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইসি সচিবালয়। তাতে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।