সোমবার নতুন করে চট্টগ্রাম জেলায় ১৫৩ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে।
“ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা সংখ্যায় বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে খারাপ রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে।”
এই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ১৫০ শয্যার মধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৬০ জন রোগী ভর্তি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউতে কোনো শয্যা খালি নেই।
আগের দিন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৫ জন এবং আইসিইউতে সাত জন ভর্তি ছিল বলে তিনি জানান।
সোমবার কক্সবাজারের একটিসহ চট্টগ্রামের মোট আটটি ল্যাবে এক হাজার ৭১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার ৯ শতাংশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ এবং উপজেলাগুলোতে এ সংখ্যা ১৩জন।
এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩৬ হাজার ৫৫৬জনে। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে কেউ মারা না গেলেও এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৮১ জনের।
এদিকে সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে সোমবার মহানগরীর ছয়টি এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন ছয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় কাউকে জরিমনা করা না হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, মানুষের মধ্যে সম্প্রতি মাস্ক না পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। একারণে অভিযান পরিচালনা করে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান বহদ্দারহাট এলাকায়, মিজানুর রহমান আগ্রাবাদ মোড়ে, উমর ফারুক কোতয়ালী ও নিউমার্কেট মোড়, মাসুদ রানা আন্দরকিল্লা, নুর জাহান আক্তার সাথী জিইসি মোড় এবং সুনিয়া আক্তার চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।