সোমবার তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই আগ্রহ দেখান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান।
সুইডেনের মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের এনার্জি খাতে বিশেষত ক্লিন এনার্জিতে বিনিয়োগ করতে চাই।”
“তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায়। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে তার দেশের চলমান অংশীদারিত্বে সন্তোষ প্রকাশ করেন।”
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে পারষ্পরিক স্বার্থে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকার কথা সুইডেনের মন্ত্রী তুলে ধরেন বলে প্রেস সচিব জানান।
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা উপর জোর দিয়ে ওলসন ফ্রিধ বলেন, তার দেশের শ্রম খাতে নারীদের আরো অংশগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নের জন্য ওলসন ফ্রিধ তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সাহসী মনোভাব রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী ‘যেভাবে বাংলাদেশ সফলভাবে’ সামলেছে, ওলসন ফ্রিদ তার জন্যও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন বলে প্রেস সচিব জানান।
সুইডেনের মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের অগ্রাধিকার হল- অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষা খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন করা। সরকার সকলের জন্য খাদ্য নিশ্চিতকরণকেও গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়েছে।
শেখ হাসিনা তার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচি সম্পর্কেও সুইডেনের মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রাথমিক স্তরে প্রায় শতভাগ বিদ্যালয়ে ভর্তির সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা বেশি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রক্ষণশীল সমাজে থেকেও প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইন কার্যকর করার মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছিলেন।
দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে গুরুত্বারোপ করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা সকলেই এই পরিস্থিতিতে কাজ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডা সেখানে ছিলেন।