বিবিসি জানায়, সোমবার ওই ধূলিঝড়ের কারণে বেইজিং ও তার আশপাশের আকাশ কমলা রঙের ধোঁয়াশায় ছেয়ে যায়।

বেইজিংয়ের বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ মরাত্মক ভাবে বেড়ে গেছে। বেইজিংয়ের কোথাও কোথাও বাতাসে দূষণের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ের চেয়ে ১৬০ গুণ বেশি।
এদিন ধূলিঝড়ের কারণে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ইনার মঙ্গোলিয়া থেকে উড়ে আসা বালির কারণেই বেজিংয়ের আকাশের এ অবস্থা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, গত কয়েক দিনে মঙ্গোলিয়ায় বেশ কয়েকটি ধূলিঝড় আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে ছয় জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

চীনের গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়, রাজধানী বেইজিংসহ চীনের অন্তত ১২টি প্রদেশ ধূলিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেইজিংয়ের বাসিন্দা ফ্লোরা ঝউ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘দেখে মনে হয়েছে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ধরনের আবহাওয়ায় আমি সত্যিই বাইরে বের হতে চাই না।”

ঐতিহাসিকভাবে বেইজিংয়ে ধূলিঝড় খুবই নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু বায়ু দূষণ প্রতিরোধে সম্প্রতি কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন: নতুন করে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না, সড়কে গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।