ক্যাটাগরি

মিয়ানমারের হ্লাইং থারিয়ারে রোববার যা ঘটেছে

বেইজিং থেকে বলা হয়েছিল, লোহার রড, কুঠার ও পেট্রোল বোমা হাতে একদল লোক ইয়াংগনের যে এলাকায় চীনের কারখানা রয়েছে সেখানে হামলা চালিয়ে ১০টি চীনা কারখানা ভাংচুর করেছে। যে ঘটনায় বেশ কয়েকজন চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। চীনের একটি হোটেলেও হামলা চালানো হয়েছে।

বিবিসি জানায়, চীনা দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে সব ধরনের নৃশংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চীনা নাগরিক ও কোম্পানির জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা প্রদান এবং মিয়ানমারের নাগরিকদের সুরক্ষা করতে বলা হয়।

তারপরই হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় সামরিক আইন জারি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভেকারীদের বিশ্বাস, চীন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে। যদিও চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রোববার দিনভরই হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় গুলির শব্দ পাওয়া গেছে এবং সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর ট্রাক টহল দিতে দেখা গেছে।

‘মিয়ানমার নাউ ওয়েবসাইট’ এর খবর ‍অনুযায়ী সেখানে এদিন অন্তত ১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা আরো বেশি বলে জানানো হয়েছে।

এক চিকিৎসক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিনজন আমার চোখের সামনেই মারা যান। আরো দুইজনকে আমি অন্য একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এই মুহূর্তে আমি এটুকুই বলতে পারি।”

পুলিশ হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় ভারি অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।

টিকটকে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘আমি হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় কোনো ধরনের দয়া দেখাব না। তাদের গুরুতর পাল্টা আঘাতও করা হবে। কারণ সেখানে সব ধরনের চরিত্র রয়েছে।”

কিছুক্ষণ পর অবশ্য টিকটক থেকে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয় বলে জানায় বিবিসি।

এদিন মিয়ানমারের ‍অন্যান্য অঞ্চল থেকেও বিক্ষোভকারীদের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনে বিক্ষোভে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরো তিন জন আহত হওয়ার খবর দেওয়া হয়েছে। বাগো অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথর ও গুলতির আঘাতে তারা হতাহত হয়েছেন বলে এমআরটিভিতে দাবি করা হয়।

মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত বিক্ষোভে ৯০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।