ক্যাটাগরি

অবসরের ৫ বছর পর জাতীয় দলে ইব্রাহিমোভিচ

দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা এই তারকাকে রেখে জর্জিয়া
ও কসোভোর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল দিয়েছেন সুইডেন কোচ ইয়ান
আন্দেরসন।  

সুইডেনের
হয়ে ১১৬ ম্যাচে ইব্রাহিমোভিচ করেছেন ৬২ গোল। ২০১৬ ইউরোর গ্রুপ পর্ব থেকে দল বিদায়
নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরে যান তিনি। 

সুইডেন ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উতরানোর পর তার
ফেরার একটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। তিনি নিজেও রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা
প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কোচ আন্দেরসন সেবার তাকে জায়গা দেননি দলে। ইব্রাহিমোভিচ
সেজন্য পরে দায় দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে।

গত নভেম্বরে আবার এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলে
ফেরার ইঙ্গিত দেন এসি মিলানের এই ফুটবলার। এরপর তার সঙ্গে মিলানে দেখা করতে যান
কোচ আন্দেরসন।

বয়স হলেও ধার যে এখনও যথেষ্ট আছে, সেটির প্রমাণ
সেরি আয় তার পারফরম্যান্স। চলতি মৌসুমে মিলানের হয়ে ১৪ ম্যাচে
করেছেন ১৪ গোল।

জাতীয় দলে
ডাক পাওয়ার পর ইব্রাহিমোভিচ তার স্বভাবসুলভ ভাষায় টুইট করেছেন, “ঈশ্বরের
প্রত্যাবর্তন।”

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান অঞ্চলের
বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে আগামী ২৫ মার্চ জর্জিয়া ও এর তিন দিন পর
কসোভোর বিপক্ষে খেলবে সুইডেন। 

২০০১ সালে ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে
সুইডেন জাতীয় দলে অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সী ইব্রাহিমোভিচের। দেশের হয়ে প্রথম
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রথম গোল পান তিনি আজারবাইজানের বিপক্ষে, ২০০২ বিশ্বকাপের
বাছাইপর্বে।

২০০৪ সালের ইউরোর গ্রুপ পর্বে ইতালির বিপক্ষে
ব্যাক-হিলে অসাধারণ এক গোল করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। কিন্তু
কোয়ার্টার-ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় তার দল। সেই
ম্যাচে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ২০০৬ বিশ্বকাপে সুইডেনের আক্রমণভাগের
মূল ভরসা হিসেবে খেললেও করতে পারেননি কোনো গোল।

২০০৬ আর ২০০৭, এই দুই বছর সুইডেনের হয়ে কোনো গোল পাননি ইব্রাহিমোভিচ।
এই সময়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল এবং অল্প সময়ের জন্য জাতীয় দল থেকে
স্বেচ্ছা নির্বাসনও নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ইউরোতে আবার পান দলের দেখা।

২০১০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা হয়নি তার দেশের।
২০১২ সালের ইউরোতে সুইডেনের নেতৃত্ব পান ইব্রাহিমোভিচ। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০
ব্যবধানের জয়ে ভলি থেকে অসাধারণ এক গোল করেন তিনি, যেটা ছিল টুর্নামেন্টের সেরা গোলগুলির একটি। তবে
গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে তার দল।

গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় পরের ইউরোতেও। এরপরই বেজে যায় ইব্রাহিমোভিচের বিদায়ঘণ্টা। সময়ের স্রোতে পায়েই
নতুন শুরুর ছন্দ।